কলকাতা :শুরু দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। শহরের সমস্ত পুজো উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ২০২৪ সালের দুর্গাপুজোর ।
তিলোত্তমার বিভিন্ন প্রান্তর ইতিমধ্যে সেজে উঠেছে পুজোর আবহে। পুজোর বেশ কিছু মাস আগে থেকেই শুরু হয় যায় প্যান্ডেল তৈরি কাজ। গত কয়েক বছর ধরে থিম পুজোর প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে বেশীরভাগ ক্লাবগুলি।
সেরার সেরা লড়াইয়ে জোড়দার টেক্কা চলে ক্লাবে -ক্লাবে। দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ও হেভিওয়েট পুজো হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব। কীভাবে সেজে উঠছে এবারের মণ্ডপ। এবছরের থিমই বা কী? জেনে নিন এক নজরে ।
হাজরা পার্ক দুর্গোৎসবের এবছর ৮২ তম বর্ষ। এবছরের থিম ‘শুদ্ধি’ যার অর্থ শুদ্ধিকরণ। থিমের ভাবনা বিমান সাহা, মাতৃরূপ দিচ্ছেন পরিমল পাল। এই উদযাপনের মূলে রয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সংগ্রাম যা একটি ছোট সমাবেশ থেকে শুরু করে, শহর জুড়ে ভক্তদের আকৃষ্ট করে একটি বিশাল অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এটি একটি অনুস্মারক, যদিও সমাজের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবু বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমতার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে। যারা আরও ন্যায়পরায়ণ সমাজ গঠনের জন্য চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য এই পুজো অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।
হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব সাম্য ও মানবাধিকারের লড়াইয়ের অগ্রভাগে থেকেছে বরাবর। মূলত দলিত সম্প্রদায়ের দ্বারা সংগঠিত, পুজোটি সম্মিলিত কর্মের শক্তি প্রদর্শন করবে। এই পুজো কলকাতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৪০-র সামাজিক-রাজনৈতিক সংগ্রাম অতিবাহিত করার ভূমিকায় এই পুজোর উৎস গভীরভাবে নিহিত।
হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সায়নদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের পুজো শুধু বিশ্বাসের উদযাপন নয়, এটা আমাদের সম্মিলিত শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতার উদযাপন। এটা মনে করিয়ে দেয় যে প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা একত্রিত হতে পারি। এই বছরের থিম বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিবৃতি এবং আরও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনে আমরা যে অগ্রগতি করেছি তার একটি অনুস্মারক।” তিনি আরও বলেন, “সবাইকে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে পুজোয় আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, কলকাতার হেভিওয়েট পুজোর মধ্যে হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব অন্যতম। এই দুর্গোৎসব ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই দুর্গোৎসব কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদের চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক দীনবন্ধু মাইতি, সহ সম্পাদক সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়।