পুজোর বাদ্যি বেজেছে…
নানা রং, নানা সাজ, নানা থিম, নানা ভোজ! টেকনিকালারে দেখা লাইস্টাইল থেকে, ট্রেন্ডিং ফ্যাশন থেকে নতুন ডেস্টিনেশন, — পুজোর শহরের একরাশ গল্প নিয়ে ফের হাজির ‘ দেশের সময়’ ~
কলকাতা : দোড়ে কড়া নাড়ছে বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। অন্যবার অনেক আগে থেকেই বাঙালি এই উৎসবের প্রস্তুতির আনন্দে মজে থাকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি একটু অন্য রকম। এক তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে চারদিকে শুধু ‘জাস্টিস’ – এর আবহ। কেউ মন খুলে পুজোর আনন্দে ভেসে যেতে পারছেন না। তাই তার প্রভাব পড়েছে বাজারে সর্বত্র। তবে বছরে একবারই মা আসেন। আর সেই পুজো ঘিরে বহু মানুষের রুজি- রুটি জড়িয়ে। বিভিন্ন বড় বড় পুজো কমিটিগুলো একটা পুজো শেষ করেই পরবর্তী পুজোর পরিকল্পনা করেন। রথের সময় কাঠামো পুজো দিয়েই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়। বড় পুজোর মণ্ডপগুলোতে কাজ শুরু হয়েছে বহু আগে থেকেই। তাই সাম্প্রতিক পরিস্থিতি খুব একটা প্রভাব ফেলে নি। প্রতিবাদের পাশাপাশি চলছে পুজোর প্রস্তুতি I পুজোকমিটির কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কী বলছেন সেটাই তুলে ধরা হলো-
‘ দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘ’- এর জয়েন্ট সেক্রেটারি সৌর ঘোষ বললেন, ‘ আগের বারের থেকেও এবারের পুজোর ব্যাপ্তি অনেক বড়। আমাদের পুজোর থিম ‘মুক্তধারা’। ১০২ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ ধারাকে মুক্ত রাখার বার্তা দিয়েছিলেন। নদীকে বাঁধ মুক্ত করো। সভ্যতার অগ্রগতির জন্য প্রকৃতির ওপর থাবা বসালে প্রকৃতিও তার বদলা নেবে। যার পরিনতি হবে ভয়ঙ্কর। সেটা আজকাল আমরা প্রায়শই দেখতে পাচ্ছি। তার প্রভাব পড়েছে জলজ প্রাণীর মধ্যেও। ঐ সব প্রাণীদের বৈচিত্র্যের বদল ঘটেছে। যেমন তিস্তা নদীতে প্রায় ২৭ টা বাঁধ আছে। এত বাঁধের ফলে তিস্তা নদীর যে গতি সেটাই পরিবর্তন হয়েছে। তিস্তা নদীর মাছ বা পোকা তারাও পুরো পাল্টে গেছে। পরিবেশের ওপর ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলছে। সিকিম বা উত্তরাখন্ড – আরও নানান জায়গায় মাঝেমধ্যে বাঁধের জন্যই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘনিয়ে আসে। আমাদের থিমে সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ১০২ বছর আগের বলা একটা কথা এখনও কতটা বাস্তব। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার একটা প্রয়াস চালিয়েছি। আমাদের আর্টিস্ট অনির্বাণ দাস প্যান্ডেলে এই চিত্রই দেখাতে চলেছেন ‘।
পুজোর বাজার দেখুন ভিডিও
রাজ্যের বর্তমান অস্থির সময়ে এ বছর কী আগের মতোই দর্শক আশা করছেন ? এই প্রসঙ্গে সৌর বলেন, ‘ আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। একজন চিকিৎসককে তাঁর কাজের জায়গায় যে ভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা আমরা কেন, কোন পুজো কমিটি সাপোর্ট করে না। আমাদের পুজোর কাজ আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাই মাঝপথে কোন পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। কারণ এখানে বহু মানুষের রুজি -রুটি জড়িয়ে। তবে আমরা কিন্তু মহিলাদের সুরক্ষার সচেতনতার বার্তা প্রত্যেকবার পুজোতেই রাখি। এবার হয়তো এই দিকটা আরেকটু জোরদার হবে। অন্যবার ৭০ -৮০ টার মতো মহিলা সুরক্ষার প্ল্যাকার্ড থাকে। আমরা মায়ের পুজো করছি সেখানে মায়ের জাতির একজন অসম্মানিত হবেন বা ভয় পাবেন এটা অনভিপ্রেত’। পুজোয় সময় : ভিডিও