Delhi Assembly Eection in 2025 দিল্লিতে গেরুয়া সুনামিতে ‘ ঝাঁটা ‘ বিদায়

0
4
পার্থ সারথি নন্দী

দেশের সময়: রাজধানীতে গেরুয়া সুনামিতে ভেসে গিয়েছে ঝাঁটা। ৭০ আসনের দিল্লিতে আপকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ধরাশায়ী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়ার মতো ভিভিআইপি মুখ। বিজেপির এই বিরাট সাফল্যের পর এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানালেন, ‘এই জয় বিকাশ ও সুশাসনের জয়।’ অন্যদিকে, লজ্জার ফল প্রকাশ্যে আসার পর নিজের হার স্বীকার করলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

শনিবার দিল্লিতে ভোট গণনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় কোন দিকে যেতে চলেছে। বেলা বাড়তেই উৎসব শুরু হয়ে যায় দিল্লির বিজেপি দপ্তরের সামনে। জয় কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা দিলেন, ‘জনশক্তিই সবার উর্ধ্বে। এই জয় বিকাশ ও সুশাসনের জয়। এই ঐতিহাসিক জয়ের জন্য দিল্লির সকল ভাই-বোনকে আমার অভিনন্দন। আপনারা যে আশীর্বাদ ও স্নেহ দিয়েছেন তার জন্য হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। দিল্লির সামগ্রিক উন্নয়ন ও বাসিন্দাদের জীবন উন্নত করতে আমরা চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখব না। একইসঙ্গে আমরা নিশ্চিত করব বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে দিল্লি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

পাশাপাশি বিজেপির সকল কর্মী-সমর্থককে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘যারা এই বিরাট জনাদেশের লক্ষ্যে রাত দিন এক করে কাজ করেছেন, বিজেপির সেই সকল কর্মীদের জন্য আমি গর্বিত। এখনও আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে দিল্লিবাসীর সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করব।’ প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি দলের হার স্বীকার করে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

শনিবার দিল্লিতে ভোট গণনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় কোন দিকে যেতে চলেছে। বেলা বাড়তেই উৎসব শুরু হয়ে যায় দিল্লির বিজেপি দপ্তরের সামনে। জয় কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা দিলেন, ‘জনশক্তিই সবার উর্ধ্বে। এই জয় বিকাশ ও সুশাসনের জয়। এই ঐতিহাসিক জয়ের জন্য দিল্লির সকল ভাই-বোনকে আমার অভিনন্দন। আপনারা যে আশীর্বাদ ও স্নেহ দিয়েছেন তার জন্য হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। দিল্লির সামগ্রিক উন্নয়ন ও বাসিন্দাদের জীবন উন্নত করতে আমরা চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখব না। একইসঙ্গে আমরা নিশ্চিত করব বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে দিল্লি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

পাশাপাশি বিজেপির সকল কর্মী-সমর্থককে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘যারা এই বিরাট জনাদেশের লক্ষ্যে রাত দিন এক করে কাজ করেছেন, বিজেপির সেই সকল কর্মীদের জন্য আমি গর্বিত। এখনও আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে দিল্লিবাসীর সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করব।’ প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি দলের হার স্বীকার করে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

ভোট বিপর্যয়ের পর কেজরিওয়াল বার্তা দিলেন, “আমরা জনতার রায় মেনে নিয়েছি। আশা করি ওরা (বিজেপি) মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে। গত দশ বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়নে নজর দিয়েছি। বিরোধীদের ভূমিকা পালন করব। আমাদের কাছে রাজনীতি জনতার উন্নয়নের হাতিয়ার মাত্র। দলের কর্মীদের অনেক শুভেচ্ছা। তাঁরা অনেক কষ্ট করেছেন। অনেক কিছু সইতে হয়েছে।” 

দিল্লিতে বিরাট জয়ের পর আম আদমি পার্টিকে তুলোধোনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ২৭ বছর পর রাজধানীতে গেরুয়া পতাকা পুঁতে মোদির বার্তা, “শর্টকার্টের রাজনীতি শর্ট সার্কিটের কবলে।” পাশাপাশি এই ঐতিহাসিক জয়ের জন্য দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, সবকা সাথ, সবকা বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে বিজেপি সরকার।

এরপরই আম আদমি পার্টিকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিল্লিতে আড়ম্বর, অরাজকতা ও আপদার রাজনীতির হার হয়েছে। জনাদেশে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে রাজনীতিতে শর্টকার্ট ও মিথ্যার কোনও জায়গা নেই। শর্টকার্টের রাজনীতিকে শর্টসার্কিট করে দিয়েছে জনতা। হরিয়ানার পর মহারাষ্ট্রে নয়া রেকর্ড গড়েছি এবার দিল্লিতেও ইতিহাস গড়েছি আমরা।”

বাঙালি অধ্যুষিত বাংলায় হালে পানি পায় না বিজেপি! অথচ দিল্লির ‘বাঙালি মহল্লা’য় ঘরে ঘরে ফুটল পদ্ম। রাজধানীর যেকটি বিধানসভায় বাঙালির আধিক্য রয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই বিজেপির দখলে। তবে ওই সমস্ত বিধানসভায় আপকে জেতাতে মাঠে নেমেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। দুটি আসনে মুখরক্ষা করলেও বাকিগুলিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে আপ। 

গ্রেটার কৈলাস, কালকাজি, করোল বাগ, ত্রিলোকপুরী পটপরগঞ্জ, পালাম, লক্ষ্মীনগর, উত্তম নগর, সঙ্গম বিহার এবং লক্ষ্মীনগর বিধানসভাগুলিতে বাঙালির আধিক্য। এর মধ্যে আটটি কেন্দ্র গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। বাকি দুটিতে কালকাজি এবং করোল বাগে জিতেছে আপ। কেজরির হয়ে মাঠে নেমেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা, মহুয়া মৈত্ররাও। ‘বাঙালি মহল্লা’ করোল বাগে আম আদমি পার্টির হয়ে প্রচার করেছিলেন মহুয়া। কালকাজিতে সভা করেছিলেন ‘বিহারীবাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহা। এই দুই আসনই মুখরক্ষা করেছে কেজরিওয়ালের। ত্রিলোকপুরী, লক্ষ্মীনগরেও তৃণমূল সাংসদ আপের হয়ে ‘ঝাড়ু’ ধরলেও সেখানে খাতা খুলতে পারেনি কেজরির দল। ফুটেছে পদ্ম।

কোন অঙ্কে বাঙালি ভোটার তথা দিল্লিবাসীর মন জিতেছে বিজেপি? এর নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। তবে রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, বাঙালিরা কোনওদিনই একজোট ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেনি। প্রত্যেক ভোটারের আলাদা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশ-দশের কথা ভেবে ভোট দেন তাঁরা। এক্ষেত্রে নিজেদের নিজের মহল্লার উন্নয়নের বিষয়টি গৌণ হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। এছাড়া দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এ বছর লড়তে হয়েছে ১০ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে সঙ্গী করে। ক্ষমতায় আসার পর ১২ বছরে কিছু কিছু প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেও বহু কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে। দিল্লির মতো রাজ্যে শুধু খয়রাতির উপর ভরসা করে কেজরিওয়াল ভোটে জয়ের আশায় ছিলেন। কিন্তু দেশের রাজধানীতে ভোটে জিততে হলে রাস্তাঘাট, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার, সর্বস্তরের মানুষের কাছে উন্নয়নের আলো পৌঁছে দেওয়া দরকার, সেটা বোধ হয় ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির বহু প্রান্তে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, নর্দমায় জল জমা, অপরিচ্ছন্ন আবর্জনার স্তূপ মাথাচাড়া দিচ্ছিল। এমনকী কেজরির গর্বের সরকারি স্কুল, মহল্লা ক্লিনিকেরও বেহাল দশা। তাছাড়া স্থানীয় বিধায়কদের বিরুদ্ধেও দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল। তার প্রতিফলনই মিলল ভোটবাক্সে।

Previous articleHappy Rose Day 2025 Wishes প্রেম সপ্তাহ শুরু ! লাল গোলাপ ছাড়া প্রেম নিবেদন যেন জমে না! প্রিয়জন কে জানান রোম্যান্টিক শুভেচ্ছাবার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here