CPM on BJP’s Bangla Bandh তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির ডাকা বাংলা বন্‌ধ নিয়ে কি বললেন, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম: দেখুন ভিডিও

0
171

সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বিবৃতি: দেখুন ভিডিও

 দেশের সময় , কলকাতা : ‘ছাত্র সমাজ’ আহূত মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধ ডেকেছে বিজেপি। যে বন্‌ধ মূলত রাজ্য সরকার তথা শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ডাকা হয়েছে। সেই বন্‌ধকে কি সমর্থন করবে বাংলার সিপিএম ?

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ বিষয়ে তাঁদের স্পষ্ট অবস্থানের কথা জানালেন ।

বিজেপির ডাকা বন্‌ধকে কোনও ভাবেই সমর্থন করছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির ডাকা বন্‌ধকে সমর্থন করার প্রশ্নই নেই। বুধবার কলকাতায় আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের। পথে নামবে বামেদের গণসংগঠন আদিবাসী অধিকার মঞ্চ। নার্সদেরও মিছিল রয়েছে। তা ছাড়া রয়েছে রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক একাধিক কর্মসূচি। আমরা সেই কর্মসূচিতে থাকব।’’ 

আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের সব অংশের মানুষ যখন প্রতিবাদে নেমেছেন, তখন বিজেপি তাকে দিকভ্রান্ত করতে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনীতি করতে নেমেছে। এরাজ্যের রাজনীতিতে বিজেপি এবং তৃণমূল তাদের হারিয়ে যাওয়া দ্বিমেরু রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। প্রশাসনকেও তাতে নামানো হয়েছে,। সেজন্যই আজ নবান্নে বিজেপি’র কর্মসূচীতে যত না আন্দোলনকারী ছিলেন তার থেকে বেশি পুলিশী বন্দোবস্ত, যুদ্ধ যুদ্ধ আবহাওয়া সাজিয়ে সরকারি তরফেও প্রচারকে তুঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে। পরিকল্পিত চোর-পুলশ খেলা।

সাজানো চিত্রনাট্য। আর জি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনা এবং তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে, অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে মানুষ সোচ্চারে রাস্তায় নেমেছেন। ‘তোমার স্বর, আমার স্বর,আর জি কর, আর জি কর’ এই স্লোগানে রাজ্যের সর্বত্র সব অংশের নানা পেশার মানুষ পথে নেমেছেন। আমরা চাই অবিলম্বে ন্যায়বিচার হোক। ন্যয় বিচারের আন্দোলনে আমরাও সামিল, বামপন্থী দল, বামপন্থী মানুষজন, ছাত্র-যুব- মহিলা সবাই রাস্তায় রয়েছেন। এই প্রতিবাদ আন্দোলন যতো তীব্র হচ্ছে, অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার বদলে প্রতিবাদীদেরই হেনস্থা করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কেস সাজানো হচ্ছে।

এভাবে প্রতিবাদকে থামানো যাবে না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভুঁইফোড় ছাত্র সমাজের নাম করে নবান্নে যাওয়া কিংবা বনধ্‌ ডেকে মানুষকে দিকভ্রান্তও করা যাবে না। মানুষের প্রতিবাদের কর্মসূচী চলবে। কিন্তু বিজেপি যখন বনধ্‌ ডেকেছে তখন সাবধান হতেই হবে, কারণ এই অছিলায় তারা মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ভাঙতে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টাও করতে পারে। তার জন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট চেষ্টা করছে যাতে ফ্রন্টের বাইরের বাম দলগুলিকেও তাতে শামিল করা যায়। কংগ্রেসকেও ওই মিছিলে আহ্বান জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে বামেদের।

Previous articleFirhad Hakim আন্দোলনের নামে দুর্গাপুজোর পোস্টার-ফ্লেক্স ছিঁড়ল বিজেপি ! অভিযোগ ফিরহাদের: দেখুন ভিডিও
Next articleBJP President J P Nadda ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা: দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here