
বনগাঁর তরুণ ও তরুণীদেরকে দারুণ সুযোগ দিতে হাত বাড়িয়েছে “এপিক স্ফিয়ার এন্টারটেইনমেন্ট ” । আগামী ২১ এ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার বনগাঁর বিভূতিভূষণ বি.এড কলেজে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এক অভূতপূর্ব ও অভিনব থিমের ক্যালেন্ডার শুট। ইংরাজি সাহিত্যের সেরা চরিত্র’রা ক্যামেরা বন্দী হতে চলেছে এদিন। সেই সমস্ত চরিত্রের জন্য আপনিও হতে পারেন “মডেল ।
“এপিক স্ফিয়ার এন্টারটেইনমেন্ট “ এর তরফে ম্যানেজিং পার্টনার ও ক্রিয়েটিভ হেড –

ও ম্যানেজিং পার্টনার পৌষালী কর ” বনগাঁর তরুণ – তরুণীদের’কে এই ক্যালেন্ডার ফোটো শুটে অংশ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন ।
কি ভাবে আপনি মডেল হিসাবে এই ক্যালেন্ডার শুটে অংশ গ্রহণ করবেন ? রইল বিস্তারিত ~ দেখুন

নিউ ইয়ার বিশ্ব জুড়ে অত্যন্ত উৎসাহ এবং আনন্দের সাথে পালিত হয়। এই দিনটি সকলের জন্য একটি বিশেষ দিন কারণ এই দিনটি নতুন বছরের শুরু এবং সকলে এই আসন্ন বছরকে সকলের মত করে স্বাগত জানায়। সকলে নতুন বছর উদযাপনের প্রস্তুতি অনেক দিন আগেই শুরু করে। অনেকে বাজার থেকে নতুন পোশাক, উপহার এবং অনেক নতুন জিনিস কেনাকাটা করে থাকেন। আমরা সকলেই পুরো বছরের সমস্ত ভাল-মন্দ স্মৃতি স্মরণ করি এবং চলমান বছরকে বিদায় জানাই এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাই।

নববর্ষ বছরের প্রথম দিন এবং এটি ক্রিসমাস থেকে শুরু হওয়া শীতের ছুটির শেষ দিন। অনেকেই পুরানো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরটিকে উদযাপন করার জন্য পার্টি রাখেন। আর অবশ্যই প্রায় প্রত্যেকের বাড়ি ও অফিস ও ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ইংরাজি মাসের ক্যালেন্ডার সংগ্রহ করে থাকেন । এবার তেমনই একটি ক্যালেন্ডারে আপনি হতে পারেন সেরা ” মডেল” ।
জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের নামকরণের ইতিহাস
১৫৮২ সালে পোপ গ্রেগরি পুরানো রোমান ক্যালেন্ডারকে সংশোধন করে নতুন ক্যালেন্ডার আনেন। তাঁর নামেই ক্যালেন্ডারের নাম হল গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।

১৫৮২ সালে পোপ গ্রেগরি পুরানো রোমান ক্যালেন্ডারকে সংশোধন করে নতুন ক্যালেন্ডার আনেন। তাঁর নামেই ক্যালেন্ডারের নাম হল গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।এর আগে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় বছর শুরু হত বসন্তবিষুবের দিন, যা সাধারণত মার্চের ২০-২১ তারিখ পড়ত। দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন ইংরাজি মাসের নামের আসল কারণ।

জানুয়ারি মাসের নামের পিছনে আছেন রোমান দেবতা জেনাস। দুই মুখ দিয়ে তিনি সামনে ও পিছনে দেখতে পান। খ্রিস্টজন্মের প্রায় ৬৯০ বছর আগে সম্রাট নুমো পম্পিলিস জানুয়ারি মাসকে বছর শুরুর প্রথম মাস হিসেবে ঘোষণা করেন। দুটি মুখ দিয়ে জেনাস পুরনো ও নতুন বছর দেখতে পাবেন, এই ছিল ধারণা।
প্রাচীন রোমানরা ফ্রেরুয়া নামে একটি ‘শুদ্ধিকরণ উৎসব’ করতেন। উৎসবে ছাগলের চামড়া দিয়ে তৈরি চাবুক ‘ফ্রেব্রুয়া’ দিয়ে নিঃসন্তান মহিলাদের অত্যাচার করা হত। মনে করা হত, এর ফলে তাঁরা পবিত্র হয়ে সন্তানের জন্ম দেবেন। সম্রাট পম্পিলিস এই উৎসবের জন্য মাসের নাম রাখেন ফ্রেব্রুয়ারি।
রোমান যুদ্ধের দেবতা ‘মার্স’কে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর নাম অনুসারে এই মাসের নামকরণ। প্রাচীন রোমানরা বিপক্ষকে বাধ্য করতেন যাতে সমস্ত যুদ্ধ মার্চ মাসে বন্ধ থাকে। এর কারণ, সেই সময় মার্চ ছিল নতুন বছরের প্রথম মাস ও উৎসবের মাস।

ল্যাটিন শব্দ ‘এপ্রিল’ এর মানে ‘দ্বিতীয়’ কারণ সেই সময়ের রোমান ক্যালেন্ডারে এপ্রিল ছিল দ্বিতীয় মাস। অন্য তত্ত্ব বলছে, ল্যাটিন শব্দ ‘এপেরিরে’ থেকে এপ্রিল মাসের নামকরণ হয়েছে। আবার অনেকে বলেন, গ্রিক দেবী ‘এফ্রোডাইট’ থেকে এই মাসের নামকরণ হয়েছে।

মে মাসের নামকরণের পিছনে আছে আর এক দেবী যার নাম ‘মাইয়া’। প্রাচীন রোমানদের বিশ্বাস ছিল, দেবদেবীর মধ্যে কখন কোন দেবতা পৃথিবীতে নামবেন, তা নাকি দেবী ‘মাইয়া’ ঠিক করে থাকেন।
প্রাচীন রোমানদের কাছে জুন মাস ছিল বিয়ের মাস। এই মাসের নামকরণের পিছনে আছেন রোমানদেবী ’জুনো’। ইনি ছিলেন দেবতাদের রানি।

জুলাই মাসের নামের পিছনে বিখ্যাত রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের নাম রয়েছে। এই জুলাই মাসেই সিজার জন্মেছিলেন। সেই সময় অবশ্য এই মাসের নাম ছিল ‘কুইন্টিলিস’।

অগস্ট মাসের নামকরণ হয়েছে রোমান সম্রাট অগাস্টাসের নাম অনুসারে।
ল্যাটিন ‘সেপ্টেম’ মানে সাত। রোমান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেপ্টেম্বর ছিল সপ্তম মাস। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫ সালে যখন জুলিয়াস সিজার তার নাম অনুসারে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার শুরু করলেন, সেখানে ক্রম অনুসারে প্রথম ছয়টা মাস ঠিক একই থেকে গেল। কিন্তু নতুন দুটো মাস জানুয়ারি ও ফ্রেব্রুয়ারি অতিরিক্ত যোগ হওয়ায় সেপ্টেম্বর হয়ে গেল নয় নম্বর মাস।

ল্যাটিন ‘অক্টো’ মানে আট আর ‘বার’ শব্দটি বিশেষণ হয়ে সাফিক্স হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। অক্টো শব্দটির অর্থ অষ্টম কিন্তু জুলিয়ান এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে অক্টোবর হচ্ছে দশম মাস।

ওই একই ভাবে নভেম্বর মাস এল ‘নভেন’ যার মানে নবম থেকে। বাস্তবে নভেম্বর মাস ১১তম মাস।
একই ভাবে ল্যাটিন ‘ডিসেম’ মানে দশ, কিন্তু বাস্তবে ডিসেম্বর দ্বাদশ মাস।
