দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেওঘরের রোপওয়ে কাণ্ডে উদ্ধারকাজ চলার সময় ফের দুর্ঘটনা।
দেওঘরে বায়ুসেনার উদ্ধারকার্য চলাকালীন ফের কপ্টার থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল এক পর্যটকের। গতকালের পর মঙ্গলবারও একই ঘটনা ঘটল। রোপওয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪ জন।
গতকাল বিকেলে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে উঠতে গিয়ে দড়ি থেকে হাত ফসকে এক ব্যক্তি ৮০০ ফুট উঁচু থেকে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হোয় তাঁর। আজ সকালে উদ্ধারকাজ চলার সময় আবারও একই ঘটনা ঘটল। এবার দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গেলেন এক মহিলা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের ত্রিকূট পাহাড়ের রোপওয়েতে দুই কেবল কারের ধাক্কায় আগেই মৃত্যু হয়েছিল দুই জনের। এরপর উদ্ধার চলাকালীন আর একজনের মৃত্যু হয়। আজ আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও এক মহিলা। জানা গেছে, তিনি ঝাউসাগড়ির বাসিন্দা। তাঁর জামাই এবং আরও কয়েকজন নীচে অপেক্ষা করছিলেন। এই সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে।
অবশ্যই প্রশ্নের মুখে পড়েছে উদ্ধার কাজ। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন, বায়ুসেনার সহযোগিতায় তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাছে এনডিআরএফ। কিন্তু প্রথমত, দুর্ঘটনার অন্তত ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য জল এবং খাবারের ব্যবস্থা করা যায়নি। কাল সন্ধের দিকে সেই ব্যবস্থা হয়। উদ্ধারকাজ চলাকালীন দু’জনের মৃত্যুও যথেষ্ট অস্বস্তিকর। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের দড়ি কী করে ছিঁড়ে গেল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷
এদিকে দেওঘরে উদ্ধারকার্য শেষ করেছে বায়ুসেনা। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা উদ্ধারকার্য চলেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ জনকে। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ২৬ এপ্রিল সেই মামলা শুনবে উচ্চ আদালত।