দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন একাধিক ব্যক্তি ও সংগঠন। সব মিলিয়ে মামলার সংখ্যা দু’শোর বেশি। মঙ্গলবার শুনানি হবে ।প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ মঙ্গলবার মামলাটি শুনবে।

কেন্দ্রীয় সরকার গত ১৩ মার্চ সিএএ কার্যকর করতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির পর এই মামলাগুলি হয়েছে। এছাড়া সিএএ-তে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেওয়ার পর পরই একাধিক মামলা জারি হয়েছিল এই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে। সেই মামলার শুনানিও মাঝপথে থেমে আছে। সবগুলি মামলাই একত্রে শুনবে বেঞ্চ।

সুপ্রিম কোর্টের ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত মামলার রায় নিয়ে এমনীতেই কেন্দ্রীয় সরকার বিপাকে আছে। এবার সিএএ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রায় হলে শাসক দল বিজেপি আরও সমস্যায় পড়বে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যে সিএএ সমর্থনকারীরাও বিজ্ঞপ্তি নিয়ে একাধিক অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলে নাগরিকত্ব দেওয়াতে সরকারের স্বদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তাদের প্রশ্ন মূলত দুটি। এক. যে সব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে সেগুলি কি বাস্তবে পেশ করা সম্ভব। ষাট-সত্তর বছর আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ কীভাবে সে দেশে বসবাসের নথি সংগ্রহ করবে? দুই. নথিপত্র দেখানোর পরও যাদের নাগরিকত্ব মিলবে না, তাদের কী হবে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারে বারে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। স্বভাতই প্রশ্ন উঠেছে নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ কী? তারা কি ‘দেশহীন নাগরিক’ পরিচয় নিয়ে বাঁচবেন?

