এবার দিল্লি থেকে এসে সুন্দরবন সীমান্তে সুরক্ষায় থাকা জওয়ানদের সঙ্গে দোলে মেতে উঠলেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরি। হিঙ্গলগঞ্জ বর্ডার আউট পোস্ট এবং সুন্দরবন নদী সীমান্তের দায়িত্বে থাকা সেনা আধিকারিক এবং জওয়ানদের সঙ্গে রঙের উৎসবে মাতলেন। নিলেন বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবরও।
সীমান্তের ওপারে নিত্যদিন অশান্তি। গত বছরের অগস্টের প্রথমে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন। তারপর থেকে পদ্মাপারের দেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর বারবার হামলার অভিযোগ উঠেছে। উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশে।
আবার বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢোকার চেষ্টাও হয়েছে একাধিকবার। বাংলাদেশিরা ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে ফসল কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। যার জেরে গত কয়েক মাসে ভারত-বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বেশ কিছু এলাকায় অশান্তিকর পরিস্থিত তৈরি হয়েছে।
যেকারণে দিনরাত এক করে সীমান্তে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সীমান্ত সামলানোর বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহানির্দেশক দলজিৎ সিং চৌধুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেকারণেই দোল বা হোলি উৎসবে সুন্দরবন সীমান্ত এবং নদী সীমান্ত সামলানো জওয়ানদের কাছে ছুটে এলেন বিএসএফের ডিজি।
বিএসএফ সূত্রে খবর, প্রত্যেক জওয়ানের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন ডিজি। তাঁদের পরিবার এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথাও বললেন। বিএসএফ শীর্ষ সূত্রে খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের সঙ্গে মেতে উঠতে দিল্লি থেকে ডিজির চলে আসা, তাঁদের কর্মক্ষেত্রে মনোবল এবং উৎসাহ বাড়াবে। এদিন ডিজিকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হন জওয়ানরা।
সূত্রের খবর, হিঙ্গলগঞ্জ বর্ডার আউট পোস্ট অংশে যাওয়ার আগে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি এবং ডিআইজির সঙ্গে দলজিৎ সিং চৌধুরি বৈঠক করেন। বর্তমানে মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার কিছু অংশের সীমান্তবর্তী এলাকার কী অবস্থা, তা জেনে নেন।
সূত্রের খবর, গরু পাচার যে অংশগুলি দিয়ে অবাধে হত, সেই এলাকাগুলির ওপরে বাড়তি নজর রাখতে ডিজি নির্দেশ দিয়েছেন। বিএসএফের ডিজি সতর্ক করেছেন, ওই অংশগুলি নিয়ে শ্লথ গতি বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হলে চলবে না। তাতে অনুপ্রবেশকারীরা সুযোগ পেয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন ডিজি।