দেশেরসময় : পেট্রাপোল সীমান্তে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত করল সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীনে ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা।বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ২৭টি সোনার বার। আটক করা হয়েছে এক মহিলা পাচারকারীকে।
সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কোটি টাকার সোনা সহ এক মহিলা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। বৃহস্পতিবারই উত্তর ২৪ পরগনায় বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোলের কাছে টহল দেওয়ার সময় ওই মহিলাকে আটক করে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় সোনার বিস্কুট সহ প্রচুর সোনা উদ্ধার হয়। বিএসএফ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সোনার মোট মূল্য ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৩২ হাজার ১৩৩ টাকা।
জানা গিয়েছে, বিএসএফ মহিলা জওয়ানরা গোয়েন্দাদের থেকে খবর পান বাংলাদেশের এক মহিলা পাচারকারী ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করতে চলেছে।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকানো হয় ওই মহিলাকে। সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের তরফে জানানো হয়েছে, ২৭ রকমের গোল্ড বার পাওয়া গিয়েছে, যার ওজন ২.১৪৫ কেজি।
তল্লাশি চালাতে গিয়ে ২৭ টি বিভিন্ন ধরণের সোনার বার উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, মহিলাটির কাপড়ের ভিতরে লোকানো ছিল বারগুলি। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। ওই মহিলা জানিয়েছে, বারাসাতের এক ব্যক্তিকে সোনার বার দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ২০০০ টাকা দিয়ে তাঁকে এই কাজ করতে বলা হয়েছে।
ধৃতের নাম মনিকা ধর। ৩৪ বছর বয়সী ওই মহিলা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।জিজ্ঞাসাবাদেই মহিলা স্বীকার করে নেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা সুমন ধর তাঁকে ওই সোনা দিয়েছেন। বারাসতে কোনও এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির হাতে সেই সোনা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এই কাজের জন্য তাঁর ২ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল বলেও জানিয়েছেন ওই মহিলা।
সোনার বারগুলো বাজেয়াপ্ত করা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহিলাকে পেট্রাপোলের কাস্টমস অফিসে পাঠানো হয়েছে।
শুল্ক দফতরের হাতে ওই সোনা তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের দাবি, প্রতিনিয়ত এভাবে সোনা পাচারকারীদের ধরা হচ্ছে। তাদের সব ছক ভেস্তে দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে বিএসএফের অনুরোধ, যাতে সন্দেহজনক কিছু দেখলেই তা বিএসএফকে জানানো হয়।