শের সময়: শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর অশান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। জায়গায় জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বহু বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিড় বেড়েছে। তাঁরা ভারতে আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা করছেন। যদিও এই পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক রয়েছে বিএসএফ। কোনও ভাবে যেন অনুপ্রবেশ না ঘটে, তার দিকে নজর রাখছে তাঁরা। তাই সীমান্তের বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াতে আগে থেকেই সেনা জওয়ানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি ৩০০-র বেশি বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্তে ভিড় করায় আরও বেশি তৎপর হয়েছে বিএসএফ। এবার তাঁরা সীমান্তের বাসিন্দাদেরও সতর্ক করে দিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের স্পষ্ট বার্তা, কোনও এলাকায় সন্দেহজনক কিছু দেখলেই তাঁদের খবর দিন। ভারতে কোনও প্রকারেই অনুপ্রবেশ বরদাস্ত করা হবে না। ইতিমধ্যেই বিএসএফের পক্ষ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দাদের এই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অধিকাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। মূলত গাইঘাটা, বসিরহাট, টাকি, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, অঞ্চল এই মুহূর্তে স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। কারণ এইসব এলাকা থেকেই অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল। তবে বিএসএফ-ও সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যে সীমান্তের গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁরা সমন্বয় বৈঠকও করেছে। ফলে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলে তা তাঁরা জেনে যাবে বলেই আশা।
দু’দিন আগেই প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক যারা মূলত হিন্দু তারা এসে জমায়েত করেছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জের সাতকুড়া সীমান্তে। প্রত্যেকের দাবি ছিল, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এরপরই ভারতের তরফে বাংলাদেশি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের বৈঠক চলে। শেষে বিজিবি বাহিনী ওপারের সীমান্তে এসে সকলকে বোঝায় এবং তাদের সঙ্গে গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শপথগ্রহণ হয়ে গেছে এবং দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। তিনি ইতিমধ্যেই দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর এও বার্তা, তিনি চলে এসেছেন তাই কারও ওপর আর কোনও হামলা হবে না। সকলকে আশ্বস্ত করেছেন ইউনুস।