অর্পিতা বনিক, বনগাঁ : সিংহভাগ হকারদের দখলে। যার ফলে মূল রাস্তা ধরেই হাঁটাচলা করতে হয়। তার জেরে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। পথচারীরা মূল রাস্তা ব্যবহার করায় তাঁদেরও সমস্যা হয়, দাবি গাড়ি চালকদেরও। তাই বনগাঁ বাজার এলাকার ফুটপাতগুলি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শহরের বাসিন্দারা।
শহরের অনেকেরই অভিযোগ, প্রায় দীর্ঘ দিন ধরে বনগাঁ শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করার দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মেলেনি। বছর পাঁচেক আগে এক বার পুরসভার তরফে ফুটপাত হকার-মুক্ত করার চেষ্টা হয়েছিল , কিন্তু বছর কাটতে না কাটতেই ফের ফুটপাত চলে গিয়েছে হকার ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দখলে৷ এখন রাস্তার উপরে কোথাও গ্যাসের ওভেন এ চলছে বিরিয়ানি প্রস্তুতি কোথাও আবার পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফুটপাতের ওপররেই ৷ ফলে, পথ চলতি মানুষের দুর্ভোগ চলছেই। দেখুন ভিডিও
ট,বাজার এলাকায় এই সমস্যা বেশি। যশোর রোড থেকে চাকদা রোডের একেবারে ত্রিকোণ পার্ক পর্যন্ত প্রায় পাঁচশো মিটার ফুটপাতের অংশ পুরোপুরি হকারদের দখলে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। একটি বস্ত্র বিপণির মালিকের কথায়, ‘‘ফুটপাতের হকারদের জন্য আমাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। মানুষজন ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারেন না। তারা ঠিক মতো দোকানেও ঢুকতে পারেন না।’’ স্থায়ী দোকানের মালিকদের অনেকেরই অভিযোগ, পলিথিনের ছাউনি দেওয়া অস্থায়ী দোকানগুলিতে কোনও ভাবে আগুন লাগলে রক্ষা নেই। একই আশঙ্কার কথা জানান দমকলের আধিকারিকেরাও। ফুটপাত দখলদারির জেরে প্রয়োজনে ইঞ্জিন নিয়ে ভিতরে ঢোকা সম্ভব হবে না বলে জানান তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিনের মধ্যে রথের কেনাকাটা জমে উঠবে। বাজারে ভিড় বাড়বে। এই অবস্থায় ফুটপাতের হাল নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। স্থানীয় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রীর কথায়, ‘‘বাজারের ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময়ে কিছু হকার উত্ত্যক্তও করেন।’’
যশোররোড সংলগ্ন বাটা মোড় থেকে ১নং রেলগেট পর্যন্ত ফুটপাতটিরও একই হাল। শহরবাসীর অভিযোগ, সেখানে ফুটপাত তো বটেই, রাস্তার একাংশও দখল করে অস্থায়ী দোকান করেছেন হকারেরা। তার সঙ্গে বেআইনি ভাবে মোটরবাইক, স্কুটার রাখার সমস্যা রয়েছে। পুরসভার আধিকারিকদের আশ্বাস, শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে,চলছে মাইকিং প্রচারও । দ্রুত ফুটপাত হকার মুক্ত করা হবে ৷