দেশের সময়: পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই। ভাবী পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে এমনটাই বার্তা দিল এবারের মাধ্যমিকে ষষ্ঠ বনগাঁর কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী বনগাঁর গর্ব বিদিশা কুণ্ডু। শহরের রেল বাজারের বাসিন্দা বিদিশার কথায়, পড়াশোনাকে ভালবাসতে হবে। দিনরাত এক করে পড়তে হবে। তাহলে নিশ্চিতভাবেই সাফল্য আসবে।
তার কথায়, আমি কখনওই ঘড়ি ধরে, ঘণ্টা হিসেব করে পড়িনি। যখনই ভাল লাগত, পড়তে বসতাম। রাত জেগেও পড়েছি। বিদিশার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। অঙ্ক ও ভৌত বিজ্ঞানে একশোর মধ্যে সে পেয়েছে ১০০। জীবন বিজ্ঞানে তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯। বাংলা ও ইংরেজিতে পেয়েছে ৯৮ করে। ভুগোল ও ইতিহাসে তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৬।
বিদিশার বাবা কিশোর কুণ্ডু, মাটিয়া হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ। মা ববি মিত্র গাড়াপোঁতা গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। মাধ্যমিকে সাফল্যের পিছনে বাবা-মায়ের সবচেয়ে বেশি অবদান বলে জানিয়েছে বিদিশা। তার কথায়, আমার প্রতিটি বিষয়ের জন্য একজন করে প্রাইভেট টিউটর ছিল।
তাছাড়া বাবা ভুগোল দেখিয়ে দিত। নিজের রেজাল্ট নিয়ে খুশি হলেও মনের কোণে রয়ে গিয়েছে একটা আক্ষেপ। বলল, ভুগোল ও জীবন বিজ্ঞানে ১০০ নম্বর আশা করেছিলাম। সেখানে অনেকটাই কমে গিয়েছে নম্বর। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় বিদিশা। উচ্চ মাধ্যমিকে সায়েন্স নিয়ে পড়বে। তবে নিজের স্কুল কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ছাড়ছে না। পড়াশোনা ছাড়া তার প্রিয় শখ গল্পের বই পড়া। প্রিয় লেখক রাস্কিন বন্ড।