দেশের সময়: গতকাল থেকে রাজারহাটে বৈদিক ভিলেজে শুরু হয়েছে বিজেপির তিনদিনের চিন্তন শিবির। কিন্তু ওই শিবিরে ছ’জন সাংসদ অনুপস্থিত থাকায় জল্পনা ছড়িয়েছে। গরহাজির থাকা ছয় সাংসদের মধ্যে তিনজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
বিজেপি সূত্রের খবর, যাঁরা এখনও পর্যন্ত চিন্তন শিবিরে যোগ দেননি, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। চিন্তন শিবিরে যোগ দেননি কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নীশীথ প্রামাণিক। গরহাজির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা। এছাড়াও চিন্তন শিবিরে আসেননি বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। এছাড়াও অন্তত ছয় থেকে সাতজন বিজেপি বিধায়কও চিন্তন শিবিরে যোগ দেননি।
কিন্তু এতজন কেন ওই শিবিরে এলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বঙ্গ বিজেপির তরফে গরহাজির থাকা দলের সাংসদ, বিধায়কদের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁরা দফতরের কাজে ব্যস্ত আছেন। অন্তত শিবিরের শেষদিনে তাঁরা যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, চিন্তন শিবিরের প্রথমদিনে পাঁচটি সেশন হয়েছে। শিবিরের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পর বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতাদের ক্লাস নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসাল। কিছুদিন আগেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে তাঁকে বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হয়েছে।
দায়িত্ব পাওয়ার পর কালই তিনি কলকাতায় এসেছেন। বিজেপির বৈঠক ঘিরে বৈদিক ভিলেজে আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা। দলের জেলা সভাপতিদের যেমন ডাকা হয়েছে, তেমনই এই চিন্তন শিবিরে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের জনপ্রতিনিধিরা। এলাকায় নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে কী করতে হবে, মূলত তা নিয়েই গাইড লাইন বেঁধে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপির এই চিন্তন শিবির নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর তোপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জনসমর্থন দেখে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে বিজেপির। তাই দুকোটি টাকারও বেশি খরচ করে চিন্তন শিবির করতে হচ্ছে ওদের। এসব করেও কিছুই করতে পারবে না। পুরভোটের উপনির্বাচনের ফল দেখেছে ওরা। পঞ্চায়েতেরও দেওয়াল লিখন হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েতে বিজেপির নাম থাকবে শুধুই দেওয়ালে। আর ভোট থাকবে মানুষের খেয়ালে।
শান্তনুর বক্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষের জবাব, ওদের তো কোনও প্রশিক্ষণ নেই। তৃণমূলের তো শুধু সিন্ডিকেট আছে। চুরি-ডাকাতি করার আর কী প্রশিক্ষণ হবে। লুটে পুটে খেতে কোনও প্রশিক্ষণ শিবিরের দরকার হয় না।