দেশের সময়,উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের নামে বিজেপি কুৎসা করছে বলে মন্তব্য করে বিজেপিকে ঝাঁটা পেটা করার কথা বললেন বাগদার বিধায়ক তথা বনগাঁ জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর কথায়, বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলকে চোর সাজানোর চেষ্টা করছে। দু’এক জায়গায় কারও নামে অভিযোগ ওঠা মানেই তিনি অপরাধী, এমন কথা বলার অনুমতি আইনে নেই। কীভাবে বিজেপি নেতারা এ ধরনের কথা বলছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন বিরোধী শিবিরকে তুলোধনা করেন বিশ্বজিৎ।
গত ২৩ নভেম্বর বাগদা ব্লকের বেয়াড়া বাজারে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সভা করেছিল রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সেই সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুল সিনহার পাল্টা সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস রাহুল সিনহাকে ‘অপদার্থ নেতা’ বলে কটাক্ষ করেন।
এদিন মঞ্চে বিশ্বজিৎ দাসকে বলতে শোনা যায়, “রাহুল সিনহার মতো একজন অপদার্থ নেতা বলছেন তৃণমূল কংগ্রেস চোর। আমিও এলাকার লোকজনের কাছে আবেদন করি, যদি কেউ ভোটের আগে এলাকায় এসে শান্ত পরিস্থিতি উত্তেজিত করতে চায়, কোথাও তৃণমূলকে চোর সাজানোর চেষ্টা করে, ঝাঁটা পেটা করবেন। বাগদা দিয়ে শুরু হবে বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে ঝাঁটা পেটা করার। সবকিছুর সীমা থাকা উচিৎ। সেই সীমা পার করলে এই সীমান্তবর্তী বাগদার মাটি থেকেই আমরা এটা শুরু করব।”
পরে মঞ্চ থেকে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এখানে রাহুল সিনহা এসেছিলেন এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে। আজ তৃণমূলের সভায় হাজার হাজার মানুষ এসে বুঝিয়ে দিলেন সেদিন রাহুল সিনহা যা বলতে এখানে এসেছিলেন তার প্রতিবাদ এটাই। কুরুচিকর কথা বলে ভোটের রাজনীতি করে লাভ হবে না। আজকের পর থেকে আমরাও ঠিক করে নিয়েছি, কোথাও কুরুচিকর কথাবার্তা বলতে এলে তার প্রতিবাদ হবে। আমাদের দলের শিষ্টাচার, শালীনতা রয়েছে। তবে সেটাকে বিজেপি অতিক্রম করলে যে ভাষায় কথা বললে ওরা বোঝে, কর্মীদের বলা আছে সে ভাষায় কথা বলতে।”
এ বিষয়ে বনগাঁ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অমৃতলাল বিশ্বাসের বক্তব্য, “আমরা চোরকে চোর বলেছি। শুধু আমরা নয়, বাংলার মানুষ চোর বলছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি চোরকে চোর বলবে তাতে যার কিছু করার আছে করে নিক। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার মানুষ ওদেরই ঝাঁটা নিয়ে বিদায় করবেন, তৈরি থাকুন। আমরা অশালীন কথা বলতে অভ্যস্ত নই।”