দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেল ডাউন বর্ধমান ব্যাণ্ডেল প্যাসেঞ্জার ট্রেন। বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ বর্ধমান হাওড়া শাখার শক্তিগড় স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটি। জানা গিয়েছে, সিগনাল ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে একটি মালগাড়ির সঙ্গে ওই লোকাল ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। যার জেরে এই দুর্ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এদিন নির্ধারিত সময় রাত ৯টায় বর্ধমান স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে যায় ট্রেনটি। এরপর শক্তিগড় স্টেশন থেকে ২৫০ মিটার দূরে আচমকাই ট্র্যাক ছেড়ে বেরিয়ে যায় ট্রেনটি। স্টেশনের কাছাকাছি থাকায় ট্রেনের গতি খুব বেশি ছিল না, সে কারণেই দুর্ঘটনা এড়িয়ে যায় ট্রেনটি। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। প্রায় প্রত্যেকেই ট্রেন থেকে নেমে যান।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল পাশের লাইন দিয়েও। সেই মালগাড়িটি ট্র্যাক বদলানোর সময়েই সমস্যার সূত্রপাত। সিগন্যালে সমস্যা থাকার কারণেই সম্ভবত মালগাড়িটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে লোকাল ট্রেনটির। এরপর লাইন থেকে বেরিয়ে যায় লোকাল ট্রেনটি। লাইনচ্যুত হয় মালগাড়িটিও।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “বুধবার রাত ৯টা ২০ নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা বিকট আওয়াজ পেয়ে ছুটে এসে দেখি ট্রেনটি লাইন থেকে নেমে গিয়েছে।” এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানা গিয়েছে রেল সূত্রে। এছাড়াও রেল সূত্রে বিশেষ কিছু না জানা গেলেও, ঘটনাস্থল থেকে এক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, একটি মালগাড়ির সঙ্গে ওই লোকাল ট্রেনটির সংঘর্ষ হয়।
এদিকে শক্তিগড় থানার এস আই এই বিষয়ে বলেন, “লোকাল ট্রেন ও মালগাড়িটি একই লাইনে চলে আসার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। হয়ত সিগনালে কিছু ত্রুটি ছিল। তবে একটাই ভালো খবর যে কারোর কোনও চোট আঘাত লাগেনি। অনেক যাত্রীই ট্রেন থেকে নেমে যে যার গন্তব্যস্থলে চলে গিয়েছেন।”
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে পয়েন্টে গোলমালই দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকমাস আগেই শক্তিগড় স্টেশন ও সিগন্যাল ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে৷ তার পরেও কী করে এত বড় মাপের দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে আগামিকাল সকালে রেলের তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে যাবে। রাতের মধ্যে ট্রেন দুটিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে লাইন পরিষ্কার করার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে নলহাটি এলাকায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় একটি লোকাল ট্রেন। লাইনে চওড়া ফাটল ছিল। তার উপর দিয়েই যাওয়ার কথা ছিল লোকাল ট্রেনের। সেটা দুই পড়ুয়ার জন্য ঘটেনি।