ফের এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী রইল বাংলা।
বারাসতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার সন্ধ্যায় বারাসতের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পীরগাছা এলাকায় একটি কারখানা ও কয়েকটি গোডাউনে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রাই প্রথমে সেখান থেকে আগুন বের হতে দেখেন। এর পর দমকলকে খবর দেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন। তবে এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে সমস্ত মজুত সামগ্রী। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ বারাসত পীরগাছা এলাকার একটি ডায়পারের গোডাউনে আগুন লাগে। এলাকার মানুষরাই কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে দমকলে খবর দেন। কিন্তু দমকল আসার আগেই আশেপাশের গোডাউনেও আগুন ছড়িয়ে যায়। গোডাউন সংলগ্নবাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসমস্ত বাড়ির সদস্যদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৩ ঘণ্টা। ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে। তবে এখনও দেখা যাচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা। অনুমান করা হচ্ছে, আজ রাতের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দমকল সূত্রে খবর, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি গোডাউনের ভিতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুনের তীব্রতা বেড়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয়রা। তাঁরা জানিয়েছেন, গোডাউন থেকে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তীব্রতা এতটাই যে গোটা এলাকা কেঁপে উঠছে।
দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, খবর দেওয়ার অনেক পরে তারা এসেছে। ক্ষোভের বশে ইঞ্জিনে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও জানা গিয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে এলেও কাছাকাছি যেতে পারছেন না দমকলকর্মীরা। যে কারণে আগুন নেভানোর কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
বারাসতের পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া জানান, কী ভাবে আগুন লাগল তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। সেই সঙ্গে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। বারাসত বিদ্যাগরের এসডিপিও অজিঙ্কা আনান্ত বলেন, ‘ঘটনাস্থলে দমকলকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশের আধিকারিকেরা রয়েছেন। আশা করছি, দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে। খবর পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে।’ শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে সব মিলিয়ে ১৫টিরও বেশি দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছেছে।