BANIPUR LOK UTSAV 2023 : হাবরার বাণীপুর লোক উৎসবে সঙ্গীতে মঞ্চ মাতালেন সোহিনী সোহা: দেখুন ভিডিও

0
933

অর্পিতা বনিক, হাবরা: বাংলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণীপুর লোক উৎসব ও মেলা । করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি কারণে দুবছর মেলা বন্ধ থাকার পর এই বছর স্বাভাবিক ছন্দেই শুরু হয়েছে এই মেলা।৬৭তম বর্ষে পদার্পণ করল এই মেলা। বাণীপুর লোক উৎসব উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী লোক উৎসব ও মেলা। গত কয়েক দশক ধরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বাণীপুর লোক উৎসব প্রাঙ্গণে। কিন্তু করোনাকালে বন্ধ ছিল এই বাণীপুর লোক উৎসব। বাংলার খ্যাতনামা মানুষদের উপস্থিতি ও যোগদান এই মেলাকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলেছে। দেখুন ভিডিও

উৎসবের বিভিন্ন দিনে আয়োজন ছিল বিভিন্ন শিল্পীদের সংগীতানুষ্ঠান ৷শনিবার বাংলাগানে মঞ্চ মাতালেন শিল্পী সোহিনী সোহা ৷ সোহিনীর কথায়, ঘড়ির কাঁটা তখন ৯টা ছুঁয়েছে ৷ মঞ্চের সামনে প্রায় সাত হাজার মানুষ বাংলা গান শুনবেন বলে অপেক্ষা করছেন আর আমি দর্শকদেরকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ৷ এখানে শুধু হাবরার নয় গোটা ২৪পরগনার বাংলা গান প্রেমী মানুষ আবারও প্রমাণ করলেন এখনও বাংলা আছে বাংলাতেই৷ সত্যিই এখানে মাটির মানুষ আছেন এবং তাঁরা বাংলা গানকে বাঁচিয়ে রাখতে জানেন ৷ বাংলা গানকে ভালবাসতে জানেন৷ বাংলাগানের প্রকৃত শ্রোতাদেরকে দেখে মন ভরে গেল৷ দেখুন ভিডিও

৫ই ফেব্রুয়ারি রবিবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা। শুরুর পর থেকেই দূর দূরান্ত থেকে আসা বহু মানুষের ভিড় রীতিমতো উৎসাহ জোগাচ্ছে উদ্যোক্তাদেরও।

গত কয়েক বছর ধরেই বাণীপুরের এই মেলার নাম ছড়িয়েছে দূরদূরান্তে। যা নিয়ে স্থানীয় মানুষের গর্বের অন্ত নেই। হাবরার পুরপ্রধান নারায়ন সাহা তো বলেই ফেললেন, ‘‘গোটা রাজ্যে বাণীপুর লোক উৎসবের জনপ্রিয়তা এখন শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মতোই।’’

উৎসবের আড়ম্বর এবং উষ্ণতায় মুদ্ধ রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাবরার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথায়, “আগামী দিনে এই মেলাকে আরো বড় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে। মূল মঞ্চটিও আরও বৃহৎ করা হবে৷ লোকসংস্কৃতির সার্বিক প্রসারে উৎসব কমিটির আন্তরিক প্রয়াস লোকসংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করছে। মানুষের সুস্থ চেতনা প্রসারেও বাণীপুর লোক উৎসব সফল।’’ স্বনির্ভর মহিলাদের হাতের কাজ থেকে শুরু করে নানা সামগ্রী এমনকি বাংলার পুলি পিঠে কি নেই এই মেলায়! আর এভাবেই মহিলাদের এগিয়ে আসতে এই মেলা বড় ভূমিকা পালন করছে বলেও জানান মন্ত্রী।

শুধু হাবরার মানুষই নন, এই উৎসবের টানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। গোটা দেশ থেকে লোকশিল্পীরা আসেন। হাবড়ার মানুষের কাছে উৎসবটি বার্ষিক পার্বণে পরিণত হয়েছে। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, উদয়শঙ্কর, অন্নদাশঙ্কর রায় কে আসেননি এই উৎসবে। স্থানীয় মানুষের কথায়, “এই লোকউৎসবের মাধ্যমে আমরা গোটা দেশের লোক সংস্কৃতির মানচিত্রে জায়গা করে নিতে পেরেছি।”

Previous articleBook Fair: খাবারেই রোগমুক্তির সুলুক সন্ধান, উদ্বোধন করলেন দেবারতি
Next articleHabra Firing: হাবরায় শ্যুটআউট! মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে গুলিবিদ্ধ দুই যুবক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here