নারী নির্যাতন ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ইস্যুতে বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।
ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকায়। প্রতিবাদীরা যে কোনও সময় প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সরকারি অফিস-বাড়ি যমুনা অতিথিশালা, বাংলাদেশ সচিবালে ঢুতে পড়তে পারে আশঙ্কায় ঢাকা মহানগর পুলিশ সেখানে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেছে। যমুনা অতিথিশালা এবং সচিবালয়ের আশপাশে কেউ জমায়েত, মিছিল ইত্যাদি করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হয়েছে ঐতিহাসিক শাহবাগ ময়দানেও।
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের মানুষ ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি-সহ নারীর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল। বড় ধরনের প্রতিবাদের জন্য সে দেশের মানুষ ঢাকার শাহবাগ ময়দান বেছে নিয়ে থাকে। গত তিন চারদিন হল সেখানে দফায় দফায় প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের একাধিক ঘটনাওয় ঘটেছে। গত মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সরকারি অফিস-বাড়ি যমুনা অতিথিশালার কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। পুলিশ লাঠি চালিয়ে, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের নিরস্ত্র করে।
অদূরে বাংলাদেশ সরকারে প্রধান সচিবালয়ের সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে। প্রতিবাদীরা বেশিরভাগই নানা বয়সের নারী। তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করেছে।
গত সপ্তাহে আন্দোলনের সুত্রপাত হয়েছিল ঢাকা, রাজশাহী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সারারাত ক্যাম্পাসে প্রতিবাদে শামিল হয় পড়ুয়ারা। এরপর রাজপথে প্রতিবাদ শুরু হয়।
সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি ছাড়াও সভা, মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, শাহবাগ মোড়, কাকরাইল মোড় ও মিন্টো রোডে।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রিসি পাওয়ার আর তিন মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে তারা অনেক গ্রেফতার ও তল্লাশি চালাতে পারবে।