Bangladesh:আস্থা খুঁজছেন ইউনূস , ঢাকার রাস্তায় ঘুরছে ট্যাঙ্ক-সাঁজোয়া গাড়ি, বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থান নিশ্চিত ? রাতের ঘুম কাড়ছে ভারী বুটের শব্দ !

0
14

বাংলাদেশে বড় কিছু হতে চলেছে? একদিকে মহম্মদ ইউনূসের ইস্তফার গুঞ্জন, অন্যদিকে রাস্তাঘাটে যে দৃশ্য দেখছেন রোজ, তাতে তটস্থ বাংলাদেশের বাসিন্দারা। কী হচ্ছে? বাংলাদেশের রাজধানীতে নেমেছে সেনার ট্যাঙ্ক। শহরের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ও ট্যাঙ্ক। তবে কি সামরিক অভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশ?


বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকায় সেনার টহল চলছে। রাস্তায় নামানো হয়েছে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি। গুরুত্বপূর্ণ যে দফতরগুলি, সেখানে নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু ঢাকা নয়, বাংলাদেশের একাধিক জেলাতেই সেনাবাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। ট্যাঙ্ক, এপিসি ও জিপ নিয়ে নিয়মিত টহল দিচ্ছে তারা।

যদিও সেনার বক্তব্য, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতেই এই টহল দেওয়া হচ্ছে। তবে হঠাৎ সেনার এই গতিবিধি বাড়ায়, আতঙ্কিত অনেকে। মোটেই ভাল ইঙ্গিত বুঝছেন না তারা।

অন্যদিকে, সম্প্রতিই ডিরেক্টরেট অব মিলিটারি অপারেশনের স্টাফ কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে অপরাধ ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। চুরি, ছিনতাই, যৌন হেনস্থা সহ নানা অপরাধ ঘটছে। বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ২৪৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু ১৫ থেকে ২১ মে-র মধ্যেই ২৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনা, বাংলাদেশ পুলিশের যৌথ অভিযানেই এই ধরপাকড়, গ্রেফতার করা করা হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে ‘বোঝাপড়া’ করে এ বার নিজের আসনকে মজবুত করার চেষ্টায় নামলেন মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশে প্রবল প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত সেনাবাহিনী তাঁর সরকারের উপরে সার্বিক অনাস্থা প্রকাশ করার পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার চেয়ার বাঁচানোকে অগ্রাধিকার হিসাবে তুলে ধরতেই যে শুক্রবার ‘পদত্যাগ’-এর নাটক করেছিলেন ইউনূস, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের।
শনিবার সরকার সমর্থক তিন রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি এবং এনসিপি-র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন ইউনূস। কিন্তু নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট পথরেখা ঘোষণার বিষয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি এ দিনও তিনি দেননি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গত বছর শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয় গণঅভ্যুত্থানের মুখে। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর তৈরি হয় অন্তর্বর্তী সরকার। তার প্রধান উপদেষ্টার পদে বসানো হয় নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। তবে সাধারণ নির্বাচন নিয়ে ক্রমাগত চাপ বেড়েই চলেছে ইউনূস সরকারের উপরে। আর এর জেরেই ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেছেন মহম্মদ ইউনূস। যদিও গতকাল ঘনঘন বৈঠক হয়। বিএনপি, জামাত দলের প্রতিনিধিরা জানিয়েছে, তারা ইউনূসের ইস্তফা চান না। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন।

পরবর্তী পদক্ষেপের আগে এটা তার কালক্ষেপের কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফ থেকে নতুন করে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও এ দিন রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক বেশি সংখ্যায় সেনা জওয়ানদের রাস্তায় দেখা গিয়েছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিতে দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়িকে। সেনার এই ‘ভিজ়িবিলিটি’ বৃদ্ধিও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।

আজ সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস।

https://x.com/IndiaWarMonitor/status/1926272390289412215?t=M2G-afjNfOnOSkoDF9VaAg&s=19

‘সরকারের দায়িত্ব পালন অসম্ভব…’,  বড় বার্তা দিয়েছে ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ

সন্ধেয় ইউনূসের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপি ও জামাতের প্রতিনিধিরা। আর সেই বৈঠকের আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক সেরে নিলেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।
জানা গিয়েছে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি।

কিন্তু এই বৈঠক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হলেও, তার আবহ অনেকটাই রাজনৈতিক। বৈঠক শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত, তা নিয়ে পদ্মা পাড়ের অন্দরে তৈরি হয়েছিল জোর শোরগোল।

বৈঠক শেষে কী বলবেন ইউনূস, সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা বাংলাদেশ। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শেষ হয় বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন মোট ১৯ জন সদস্য। জানা যায়,
গোটা বৈঠকে দেশের নির্বাচন, বিচার ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সংস্কার-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। তারপর সেই নিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে সরকার পক্ষে তরফে।

বাংলাদেশের অন্দরে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে সেই বিবৃতিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ‘যদি পরাজিত শক্তির উস্কানিতে ও বিদেশি কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে সরকারের দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তোলা হয়, তখন সরকার দেশের সকল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথে হাঁটবে।’

এরপরই ইঙ্গিতে ইউনূসের উপর তৈরি হওয়া চাপের প্রসঙ্গ তুলে বিবৃতি আরও জানানো হয়, ‘শত বাধার মাঝেও অন্তর্বর্তী সরকার তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে। সর্বোপরী বাংলাদেশে চিরকালের মতো স্বৈরতন্ত্রকে প্রতিহত করতে ঐক্যই একমাত্র পথ।’

Previous articleJessore Roadমাথায় ঝুলছে মরা ডাল ,তার উপরে ঝড়ের আতঙ্ক নিয়ে যশোর রোডে ঝুঁকির যাত্রা বনগাঁয় : দেখুন ভিডিও
Next articleবড় সাফল্য ,জাপানকে পিছনে ফেলে দুনিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন ভারত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here