দেশের সময় , বনগাঁ: রাত পোহালেই পুর নির্বাচন। আর তার আগের মুহূর্তে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ালো বনগাঁয় ৷ বোমা ফেটে গুরুতর জখম হলেন এক বেক্তি৷
শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ শিমুলতলার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আয়রনগেট ক্লাবের মাঠ সংলগ্ন এলাকায় ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে আহত বেক্তিকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে আহত ব্যক্তির নাম বিদ্যুৎ নাগ, বাড়ি ব্যারাকপুর মহাকুমার ইছাপুরে । বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছে ওই ব্যাক্তি ।ভোটের আগে এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ ।
অন্যদিকে , শুক্রবার রাত থেকেই বনগাঁয় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে৷
এই পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী মলয় আঢ্যর অভিযোগ, শুক্রবার প্রচারের ফাঁকে তিনি এবং দলের কয়েকজন কর্মী রাখালদাস হাইস্কুলের সামনে রাস্তার ধারের একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। তখন কৃষ্ণ মোদক নামে এক ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁকে হেনস্থা করে বলে মলয় আঢ্যর অভিযোগ। তিনি টোটোতে করে যাওয়ার সময় টোটো উল্টে দেওয়ারও চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
কংগ্রেস প্রার্থীর আরও অভিযোগ, বিরোধী পক্ষের দুষ্কৃতীরা তাঁকে হেনস্থা করেছে। তার কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং হেরে যাওয়ার ভয়ে আগে থেকেই সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে বলে শাসক দলের পাল্টা অভিযোগ।
মলয় আঢ্য আরও বলেন, তিনি ওই এলাকা ছাড়ার পর তাঁর অন্য কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। তাদের মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর রাতে মলয় আঢ্যর সমর্থকেরা বনগাঁ থানার সামনে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় মোটর বাইক বাহিনী ঘুরে ঘুরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার মাঝেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী মলয় আঢ্য বনগাঁ থানায় কৃষ্ণ মোদকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ দায়ের করে এসে বিক্ষোভরত কর্মী, সমর্থকদের বলেন যে, পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছে। এরপর বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
এব্যাপারে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানান, ‘১৫ দিন আগে থেকেই আমরা বুঝতে পারছি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিরোধী প্রার্থীর জামানত জব্দ হবে। আর সেই কারণে তারা শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। কোনওরকম হামলা বা হেনস্থার ঘটনা ঘটে নি। পুলিশকে অনুরোধ করেছি, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য, যাতে একসঙ্গে ৩–৪ জন জড়ো হয়ে কোনওরকম গোলমাল ঘটাতে না পারে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , শনিবার সকালে বোমা ফেটে আহত হওয়ার ঘটনা এবং শুক্রবার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা দুটি পৃথক ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তবে রাজনৈতিক মহল দুটি ঘটনাকে এক করেই দেখছেন বলে অনেকের অভিমত৷ ভোটের কয়েক ঘন্টা আগের মূহুর্তে পর পর দুটি ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ৩ নম্বর ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়৷ চলছে পুলিশের টহলদারি৷