দেশের সময় ,বনগাঁ : গত ১৬ ও ১৭এপ্রিল কলকাতার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়। সেই ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে ৯ বছর বয়সের অনূর্ধ্ব ২৩ কেজি বিভাগে অংশগ্রহণ করে বনগাঁর চাঁপা বেড়িয়ার মেয়ে রূপসা ধর।
সেই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে স্বর্ণ-পদক জিতে নেয় রূপসা। প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেয়ে খুশি রূপসা। ভবিষ্যতে আরও বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সাফল্য পেতে চায় সে।
রূপসার কথায় “আমি ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম স্থান অধিকার করে খুব খুশি।ভবিষ্যতে আরও বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চাই।” মেয়ের সাফল্যে খুশি তার পরিবারও।
রূপসার সাফল্যকে কুর্ণিশ জানাতে বনগাঁ উৎসব-২০২২-র মঞ্চে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁকে সংবর্ধিত করেন পুরপ্রধান গোপাল শেঠ।
গোপালবাবু বলেন বনগাঁর কৃতি সন্তানরাই আমাদের শহরের নামকে দেশ-বিদেশে পৌঁছে দিচ্ছেন ৷ যেমন গানের জগতে বিশাখ জ্যোতি, অরুণিতা তেমনই খেলার জগতে রূপসা এবং দিগন্ত ৷ তাঁদের জন্য আমরাও গর্বিত৷
ভবিষ্যতে বনগাঁর ছেলে- মেয়েদেরকে আরও বড়ো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে এবং সাফল্য অর্জন করতে আহ্বান জানান পুরপ্রধান ৷ পাশাপাশি বলেন ,ভবিষ্যতে এই শহরের ছেলে-মেয়েদেরকে আরও বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পদক ছিনিয়ে আনতে দেখতে চাই, তার প্রস্তুতিতে পুরসভার বিভিন্ন স্থানে ক্যারাটে কেন্দ্র তৈরী করে প্রশিক্ষণের সুবন্দবস্তু করা হবে দ্রুত৷ “
ক্যারাটে প্রশিক্ষক সুমন বিশ্বাস বলেন, সাত বছর বয়স থেকে রূপসা তার কাছে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে। দিনে প্রায় আট ঘন্টা প্রশিক্ষণ নিত সে। সে প্রথম বারের জন্য ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় এবং সবকটি ধাপ পেরিয়ে স্বর্ণ পদক লাভ করে। রূপসার সাফল্যে খুশি বনগাঁর বাসিন্দারাও৷
সুমনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এবছরের ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ১৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে রুপসা স্বর্ণ পদক পায় এবং বনগাঁ শিমুলতলার বাসিন্দা আরেকজন প্রতিযোগী দিগন্ত মল্লিক ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে৷ তাঁকেও এদিন ওই মঞ্চে সংবর্ধনা দেওয়া হয় পুরসভার পক্ষ থেকে৷
পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন ,বর্তমান পরিস্থিতিতে নারীরাও কোন অংশে পিছিয়ে নেই৷ রূপসার মতো আরও মেয়েরা ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিয়ে এগিয়ে যাক৷ কারণ শুধু প্রতিযোগীতা নয় ,তাঁদের জীবনে বিভিন্ন সময়ে নানানভাবে হিংসা ও অপরাধের প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও প্রয়োজন এই প্রশিক্ষণ৷