অর্পিতা বনিক, বনগাঁ: মহালয়াতেই যেন পুজোর সুর বাঁধা হয়ে গেছে৷ সেদিন সন্ধ্যায় জেলায় জেলায় পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চেতলা অগ্রণী থেকেই হয় উদ্বোধন৷ সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর চোখেমুখেও ছিল খুশির আমেজ৷ পুজো যে এসে গিয়েছে তা বোঝা যাচ্ছিল তাঁকে দেখেই৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ২৫৩টি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন রবিবার৷ যার মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি পুজো ছিল। এবং দুই জেলার ক্লাব ও পুজো কমিটির তরফ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয় ৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনগাঁর ১২র পল্লী ম্পোর্টিং ক্লাব ও অভিযান সংঘ ক্লাবের পুজোর উদ্বোধনও করেন একই দিনে ৷ জেলাগুলিকে গত শুক্রবারের মধ্যেই তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জেলার আধিকারিকেরা সেই তালিকা নবান্নে জমা দিয়েছিলেন। তবে রবিবার প্রথম নয়৷ গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় তিনটি পুজো মন্ডপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখুন ভিডিও:
প্রসঙ্গত, এই প্রথম আড়াইশোটির বেশি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মোট ২৫৩টি পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এগুলি হল: উত্তর ২৪ পরগনায় ২৩টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৪টি, হাওড়ায় ১৭টি, নদিয়ায় ৩টি, মুর্শিদাবাদে ১০টি, পূর্ব বর্ধমানে ৯টি, পশ্চিম বর্ধমানে ৪টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৩টি, পশ্চিম বর্ধমানে ৪টি, বীরভূমে ১৫টি, হুগলিতে ১৭টি, ঝাড়গ্রামে ৬টি, বাঁকুড়ায় ১০টি, পুরুলিয়ায় ১১টি, মালদায় ১১টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১০টি, উত্তর দিনাজপুরে ১০টি, দার্জিলিংয়ে ১৫টি, কালিম্পংয়ে ৩টি, জলপাইগুড়িতে ১৭টি, আলিপুরদুয়ারে ১০টি, কোচবিহারে ৫টি।
১২র পল্লী স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস , এসপি জয়ীতা বসু সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে পুজো উদ্বোধন এক বিরাট সৌভাগ্য, এমনটাই মনে করছেন ক্লাব সদস্যরা।
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে জেলায় জেলায় ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে এবার পুজো ঘিরে বনগাঁ মহকুমাতেও আরও বেশি উচ্ছাস ও উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ক্লাব সদস্য সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে৷