দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ হাওড়ার থেকে আলাদা হয়ে গেল বালি। বিধানসভায় আজ এই প্রস্তাব পাস হয়েছে। যার ফলে হাওড়া পুরনিগমের আওতায় আর থাকছে না বালি।
এবার থেকে বালি হতে চলেছে পৃথক পুরসভা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে বালিকে পৃথক পুরসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর আজ সেই সিদ্ধান্তেই সরকারি সিলমোহর পড়ল। এর আগে হাওড়া ও বালি দুটি আলাদা পুরসভাই ছিল। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫-র জুলাইয়ে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল বালি পুরসভাকে। সেই সঙ্গে ওয়ার্ডের পুনর্বিন্যাস করা হয়, যেখানে বালি পুরভায় আগে ছিল ৩৫টি ওয়ার্ড, সেখানে হাওড়া হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়ে ছিল ১৬টি-তে।
সংযুক্তিকরণের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। কোনও দরকারে হাওড়ায় তাদের ছুটতে হত। কিন্তু আলাদা করে দেওয়ায় সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে হাওড়া পুরসভায় ছিল ৬৬টি ওয়ার্ড। আজ বালি পুরসভা আলাদা হয়ে যাওয়ার ফলে আগামী পুর নির্বাচনে হাওড়ায় ভোট হবে ৫০টি ওয়ার্ডে।
১৯ ডিসেম্বর কলকাতার সঙ্গে হাওড়া পুরসভায় ভোট হবে। রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে লিখিত সম্মতিপত্র পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে হাওড়ায় পুরভোট ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। সোমবার পুরসভার সামনে আইন-অমান্য কর্মসূচির মাধ্যমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বামেরা। মঙ্গলবার হাওড়ায় পুর পরিষেবা ইস্যুতে বাগযুদ্ধে জড়ায় রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোট না হওয়ায় হাওড়া শহরে শিকেয় উঠেছে পুরপরিষেবা। দুর্নীতি আর অনুন্নয়নের অভিযোগে সুর চড়িয়েছে তারা।
২০১৩ সালের পুরভোটে বামেদের থেকে হাওড়া পুরসভা ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর হাওড়া পুরসভায় তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তারপর প্রায় ৩ বছর প্রশাসক বসিয়ে পুরসভার কাজ চলছে। কিন্তু পুরভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে রাজনীতির পারদ।