কলকাতার কাছেই ফের আতঙ্কের ছবি। নর্দমায় আবর্জনার সঙ্গে ট্রলি ব্যাগটা পড়েছিল দেখেই সন্দেহ হয়। মঙ্গলবার সকালে সেই ব্যাগ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। আর ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে। ফের ট্রলি ব্যাগের ভিতর মিলল দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার মুখে বাদামি রঙের টেপ লাগানো ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, মহিলাকে খুন করা হয়েছে। মৃতার পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। মহিলাকে অন্য কোথাও খুন করে এখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসেই আহিরীটোলায় একটি ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে মিলেছিল এক মহিলার দেহ। আর এবার বাগুইআটিতে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশপাশের এলাকাতেও খোঁজ চালানো হচ্ছে কোথাও কোনও নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে কি না। মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই কাণ্ড স্মৃতি উস্কে দিয়েছে কয়েক মাস আগে কুমোরটুলির কাছে ট্রলিব্যাগে দেহ উদ্ধারের ঘটনার।

গত ফেব্রুয়ারিতে কুমোরটুলি ঘাটের কাছে ধরা পড়েন ফাল্গুনী ঘোষ এবং তাঁর মা আরতি ঘোষ। তাঁদের কাছে একটি ট্রলি ব্যাগ ছিল। তার ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় এক মহিলার টুকরো টুকরো দেহ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, মৃত মহিলা ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষ। অভিযোগ, তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলিতে ভরেছিলেন মা এবং মেয়ে। তার পর ট্যাক্সি করে ট্রলি নিয়ে এসেছিলেন কুমোরটুলি এলাকায়। সেখানে গঙ্গায় ট্রলি ভাসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যান মধ্যগ্রামের এই দুই বাসিন্দা।
