দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘদিন কোনও খোঁজ ছিল না বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের। ঘটনার কয়েক মাস পর, ডিসেম্বর মাসেই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ এরপর থেকে সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন তিনি। সোমবার সেই সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হল লালন শেখের। কী ভাবে মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভাদু শেখ ঘনিষ্ঠ লালনের মৃত্যু নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সোমবার সন্ধেবেলা তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সন্ধে ছটার খবর, লালনের দেহ সিবিআই ক্যাম্প থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে।
গত ৪ ডিসেম্বর লালনকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই প্রথমে তিন দিন ওপরে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়েছিল। তারমধ্যেই লালনের মৃত্যু হল সোমবার।
লালন ছিলেন নিহত পঞ্চায়েত প্রধান ভাদু শেখের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ২০ মার্চ সন্ধ্যায় ভাদু খুন হয়েছিলেন বাড়ির অদূরেই। তারপর গভীর রাতে বগটুই গ্রামে লাইন দিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। একাধিক মানুষের মৃত্যু হয় ওই ঘটনায়। ২৪ মার্চ পোড়া বগটুইয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
লালনকে নিয়ে বগটুই কাণ্ডে মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ঘটনার প্রায় ন’মাস পর ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালনকে। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে থাকার সময়ে লালনের কীভাবে মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে লালনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, কী এমন ঘটল যে একেবারে মারাই গেলেন লালন? তাঁর অসুস্থতা থাকলে তা কি সিবিআইয়ের নজরে পড়েনি? রুটিন মেডিক্যাল চেকআপেও কিছু ধরা পড়েনি লালনের? সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির হেফাজতে লালনের মৃত্যু বগটুই মামলার নতুন মোড় বলেই মনে করা হচ্ছে।