কলকাতা :রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নাটক মুক্তধারা’ অবলম্বনে কলকাতার আইসিসিআর- এ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার থেকে শুরু হয়েছে চারুকলার চিত্র ও হস্তশিল্পের প্রদর্শনী। চলবে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
শিক্ষক দিবসের দিনটিতে শিক্ষকদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এই প্রদর্শনী শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত দিন পরিবর্তিত হয়ে সোমবার এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয় বিশিষ্ট কয়েকজন শিক্ষক- শিক্ষিকার উপস্থিতিতে।
চারুকলার কর্ণধার রাজদীপ দাস জানান, এবারের শিল্প প্রদর্শনীর ভাবনা হলো মুক্ত ধারা। অর্থাৎ মুক্তি নিয়ে ধারা যাতে প্রবাহিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গ্রন্থের নাম নিয়েই প্রদর্শনীর নাম দেওয়া হয়েছে মুক্তধারা ।
প্রদর্শনীর শুরুতে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অতিথিদের সংবর্ধনা প্রদানের পর তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতার নিরিখে উদিয়মান শিল্পীদের পথ চলার কিছু নির্দেশিকা দেন। তাছাড়া আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার কথাও তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে ।
এদিন প্রদর্শনী উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ভাস্কর্য শিল্পী মানবেন্দ্র সরকার, চিত্র শিল্পী মিহির কয়াল,ভাস্কর্য শিল্পী বিমান নাগ, চিত্র শিল্পী রাজাবাবু ফকির। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী নমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নৃত্য শিল্পী সৌমেন বসাক।
প্রদর্শনীতে ৭৫ জন শিল্পীর ১১০ টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। আর পাঁচ জন হস্তশিল্পের কারিগরের কাজ প্রদর্শনীতে শোভা পাচ্ছে। দেখুন ভিডিও
চারুকলার কর্ণধার রাজদীপ দাস জানান, ‘ আমি একটা শিল্প পরিবার সৃষ্টি করেছিলাম ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট। এ বছর ১২ আগস্ট এই শিল্প পরিবার পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করেছে। অসংখ্য শিল্পীদের ভালোবাসা নিয়ে একত্রিত হয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি।
আমার এই পরিবারে অনেক গুণী মানুষ সদস্য হিসেবে আছেন। ২০২১থেকে প্রথম প্রদর্শনী শুরু করি কোভিড পরবর্তীকালে। এর আগে রামকৃষ্ণ মিশন, অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসসহ বিভিন্ন জায়গায় এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিল্প প্রদর্শনীর এবারের ভাবনা হলো মুক্ত ধারা। অর্থাৎ মুক্তি নিয়ে ধারা যাতে প্রবাহিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গ্রন্থের নাম নিয়েই আমরা মুক্তধারা নাম দিয়েছি। শেষ প্রদর্শনীটি আমরা যামিনী রায়ের নামে নামাঙ্কিত করেছিলাম। প্রতি বারই কোন বিশেষ মণীষীর নামাঙ্কিত করে সেই শিল্পীকে সন্মান প্রদর্শন করি। আশা করছি এই প্রদর্শনী ভবিষ্যতে আরো বড়ও মাত্রা পাবে।’