Arms Recovered from College: অতীতে দা নিয়ে তাড়া করেছিলেন অধ্যক্ষকে, তিনিই কি নহাটার কলেজে ঢোকালেন আগ্নেয়াস্ত্র? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে

0
847

দেশের সময়, নহাটা উত্তর ২৪ পরগনা : নিরাপদ নয় শিক্ষাঙ্গনও! কলেজের ভিতর থেকে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র। একেবারে কলেজের স্টাফ রুমের আলমারির ভিতর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কলেজের অধ্যক্ষ অর্ণব ঘোষ কলেজের অ্যাকাউন্টটেন্ট রণপতি রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, কলেজের নানাবিধ গণ্ডগোলের কারণে এর আগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন এই রণপতি বাবু। কলেজে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কলেজের প্রিন্সিপাল। ওই কলেজেরই অ্যাকাউন্টেন্টের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রিন্সিপাল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ। শনিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে।

কীভাবে কলেজের মধ্যে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র আনতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই । স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের দাবি, “এতে কলেজের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। তবে অধ্যক্ষ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তিনি গত তিন মাস ধরে কলেজে আসেন না।” সে ক্ষেত্রে তিনি কীভাবে ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারেন কলেজের মধ্যে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক স্বপন মজুমদার ।

কলেজের অধ্যক্ষকে দা নিয়ে তাড়া করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ওই সময়েই রণপতি বাবু আগ্নেয়াস্ত্র এনে থাকতে পারেন বলে অনুমান করছেন অধ্যক্ষ। কলেজের মধ্যে আতঙ্কে পরিবেশ তৈরি করবার জন্যই ওই আগ্নেয়াস্ত্র এনে রাখা হয়েছিল বলে দাবি অধ্যক্ষের।

ঘটনার জেরে গোপালনগর থানায় অভিযোগ হলেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত রণপতি রায় নামে ওই ব্যক্তির কোনও রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে কি না, সেই বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। এই বিষয়ে চৌবেরিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপন হাজরা বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে এই রকম ধরনের জিনিস নিয়ে প্রবেশ করা অথবা রেখে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ । এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র বা কার্তুজ পাওয়াটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি অবমাননা। আমরা চাই দ্রুত এর তদন্ত হয়ে যেন দোষীকে গ্রেফতার করা হয়।”

এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষও। বলেন, “এখন যেমন রাস্তার ধারে সব জায়গায় সবজি পাবেন, সেই রকম আগ্নেয়াস্ত্র পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় পাবেন। টাকা দিন, লোক আছে, পৌঁছে দিয়ে যাবে। তারপর যা ইচ্ছা করুন। যে কেউ মেরে দিচ্ছে যাকে তাকে। যেখানে সেখানে গুলি চলছে। আজকে যখন তৃণমূলের লোকেরা মারা যাচ্ছে তখন চিৎকার করছে।

যখন বিজেপির লোকেরা মারা যাচ্ছিল কোনও সমস্যা ছিল না। যখন সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছিল, কোনও সমস্যা ছিল না। আজকে নিজেরা মারামারি করে তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা মরছে।” তিনি আরও বলেন, “মুঙ্গের এবং অন্যান্য জায়গায় অস্ত্রের কারখানা চলত আগে। তাদের কারিগররা খুব এক্সপার্ট হয়। যেমন হাতিয়ার দেবেন, বানিয়ে দেবে। তারা এখন পশ্চিমবঙ্গে এসে ঢুকেছে। এখানকার পুলিশ গায়ে হাত দেবে না। সরকার তাদের সমস্যা করবে না।”

কলেজের অধ্যক্ষের দাবি, গত কয়েক মাস আগে দা নিয়ে অধ্যক্ষকে তারা করেছিলেন ওই স্টাফ। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র এনে থাকতে পারেন বলে অনুমান করছেন অধ্যক্ষ। কলেজের মধ্যে আতঙ্কে পরিবেশ তৈরি করবার জন্যই ওই আগ্নেয়াস্ত্র এনে রাখা হয়েছিল বলে দাবি অধ্যক্ষের।

প্রসঙ্গত, বোমা, আগ্নেয়াস্ত্রর মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে ভাটপাড়া , ব্যারাকপুর , টিটাগড় সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এদিন ভাটপাড়া থেকেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। তবে এবার আগ্নেয়াস্ত্র মজুুতের আখড়া থেকে রেহাই পেল না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান! এমন প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।

Previous articleWeather Update: চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ, বাংলার আবহাওয়ার পরিবর্তন আসছে!৪ দিন কলকাতা সহ একাধিক জেলায় একনাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
Next articleSealdah Metro: সোমবার শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করবেন স্মৃতি ইরানি, আমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রীকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here