দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জামিন পেলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রাজ্য পুলিশের করা মামলায় জামিন পেলেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে আবারও দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই জামিন পান তিনি।
শিবঠাকুর মণ্ডলকে খুনের চেষ্টার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল দুবরাজপুর থানা। আট দিনের হেফাজত শেষে এদিন ওই মামলায় জামিন পেয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১ জানুয়ারি অনুব্রতকে আদালতে পেশ করতে হবে।
আপাতত পুলিশ সূত্রে খবর, অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হবে আসানসোল জেলে। কারণ গরু পাচার মামলায় এখনও তাঁর নিস্তার মেলেনি।
এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে। কেষ্ট খুঁজেপেতে শিবঠাকুর পেয়েছে। এই শিবঠাকুর এমন মামলা করেছেন, ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার, আর ৭ দিনের মধ্যে জামিন। “
এক্ষেত্রে, একটি বিষয় উল্লেখ্য, দুবরাজপুর আদালতে বিচারক অরিত্রিকা দাসের এজলাসে অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করা হয়েছিল। তবে প্রথম দিন অনুব্রতর তরফে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। সেসময় আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, যেহেতু এত তাড়াতাড়ি মামলা হয়েছে, সেক্ষেত্রে আইনজীবী ঠিক করা সম্ভব হয়নি। তারপর অনুব্রতকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন অবশ্য অনুব্রতর আইনজীবী ছিলেন, তিনি জামিনের পক্ষে সওয়ালও করেন। তবে এবার প্রশ্ন, জামিন পাওয়ার পর কি তবে দিল্লি যেতেই হবে অনুব্রতকে?
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষেত্রে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের অনুমতি পেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু তার পরের দিনই শিবঠাকুরের মামলায় অনুব্রতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ফলে সেই মুহূর্তে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে থমকে যেতে হয় ইডি-কে।
এরমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। বীরভূমের তৃণমূল নেতার হয়ে সওয়াল করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বল। হাইকোর্টে বলা হয়, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এক্তিয়ার নেই বাংলার মামলায় ইডিকে এই ধরনের অনুমতি দেওয়ার। শেষ পর্যন্ত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
ফলে মনে করা হচ্ছে, আপাতত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আসানসোল জেলেই থাকবেন অনুব্রত। দিল্লি হাইকোর্ট পরবর্তী শুনানিতে কী বলে সেটাই এখন দেখার।