দেশের সময় :রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার ফাঁকে কি পরীক্ষার নামে ‘হু-লা-লা’ ঢুকিয়ে দেওয়া যায়? বা কখনও ‘হ্যা হ্যা’ আওয়াজ? পরীক্ষানিরীক্ষা কি রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে করা যায়, করলে কতটাই বা? রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী দেবাদৃত চট্টোপাধ্যায়। দেখুন ভিডিও
দেবাদৃত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে ততদূর পরীক্ষানিরীক্ষা করা যায়, যতক্ষণ রবীন্দ্রনাথের গানের বাণী এবং তার ভাব অক্ষুণ্ণ রাখা যায়। গান মানে, তার বাণী, তার ভাব, সুর, লয় এবং তাল। সেই সঙ্গে সামগ্রিক নান্দনিকতা বোধ। এ গুলো সবই আপেক্ষিক। অর্থাৎ, এই পরীক্ষানিরীক্ষা কে করছেন, তাঁর উপর সব কিছু নির্ভর করে।
রবীন্দ্রনাথ কিন্তু বারবার বলেছেন তাঁর গান যেন তাঁরই থাকে। আমার এ বিষয়ে মত , সব সময় মাথায় রাখতে হবে গানের মূল ভাব যেন কিছুতেই নষ্ট না হয়।
আসলে রবীন্দ্রসঙ্গীতের কথা বা সুর বদল করলে তখন মনে হয় এটা এক ধরনের বিকৃতি। যদি কথা বা সুর বদল করতেই হয়, তা হলে রবীন্দ্রনাথ কেন? নিজের কিছু সৃষ্টি করুন। সেটা নিয়ে যা ইচ্ছে কাটাছেঁড়া করুন।
রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে খুব বেশি এক্সপেরিমেন্টের পক্ষপাতী আমি নই। রবীন্দ্র গানের মধ্যে অন্য সুর বা কথা কেউ ব্যবহার করবেন, এটা মেনে নিতে পারি না। কিন্তু অন্য গানের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের গানের কথা ব্যবহৃত হলে আমার আপত্তি নেই। কারণ সে ক্ষেত্রে আমরা রবীন্দ্রনাথের দ্বারস্থ হচ্ছি। এটা আমার মত। এখন অনেকরকম মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট হয়। যদি গানের সঙ্গে সেই বাজনা শুনতে ভালো লাগে তাহলে অসুবিধের কিছু নেই। তবে এই ভালো লাগাটা খুব আপেক্ষিক ব্যাপার। আমার মনে হয়, সঙ্গীত শিক্ষা আর অভিজ্ঞতা দিয়ে তা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। এখন দুর্গা ঠাকুরের সাজে অনেক অভিনবত্ব এসেছে। কিন্তু ঠাকুরের দশটা হাত, ত্রিনয়ন একই। সে রকমই রবীন্দ্র গানের অলংকরণে একটু পরিবর্তন এলে ক্ষতি নেই। তবে তা যেন গানটাকে নষ্ট না করে।