দেশের সময়,ওয়েবডেস্ক: আগরতলা-আখাউড়া রেল লাইনের উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের আলোচনায় ছিল এই রেল প্রকল্পটি। লাইন বসানোর কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও বুধবার এই প্রকল্পটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দু দেশের ভোট সামনেই, সেই কারণেই তাড়া উদ্বোধনে। উদ্বোধন ট্রেন দেখতে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং বাংলাদেশের রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন হয় এদিন।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করাই এই যৌথ প্রকল্পগুলির মূল লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও নাম না করে বিগত সরকারকে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি প্রধামন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে বিগত ৯ বছরে, তা বিগত কয়েক দশকে হয়নি। এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে শুধুই তাঁর সরকারের প্রশংসা। তিনি বলেন, “গঙ্গা বিলাস চালু করার ফলে ভারত-বাংলাদেশ পর্যটন ক্ষেত্র ব্যপকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। বিগত ৯ বছরে ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্য বাংলাদেশের চিটাগং এবং মোংলা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। করোনার সময়ে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা লাইফ লাইন হিসেবে কাজ করেছে।” তাঁর কথায়, “অক্সিজেন এক্সপ্রেসের মাধ্যমে চার হাজার টনের বেশি তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন ভারত থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। আমাদের পারষ্পরিক বাণিজ্য বিগত ৯ বছরে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
” বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের যৌথ উদ্বোধন দুই বন্ধু দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করে তুলবে।”
ভারতের তরফে বাংলাদেশকে দেওয়া ৩৯২.৫২ কোটি টাকা অনুদানে গড়ে তোলা হয়েছে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ। এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ ১২.২৪ কিলোমিটার। এই ডবল গেজ লাইন রয়েছে বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার এবং ত্রিপুরায় ৫.৪৬ কিলোমিটার।
অন্যদিকে, ৩৮৮.৯২ ডলার খরচে গড়ে তোলা হয়েছে খুলনা-মোংলা বন্দর রেলপথ। খুলনায় বর্তমান রেললাইনের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে অতিরিক্ত ৬৫ কিলোমিটার ব্রড গেজ লাইন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রড গেজ লাইনের সঙ্গে যুক্ত হল মোংলা বন্দর। ভারতের তরফে দেওয়া ১.৬ বিলিয়ন ডলার অর্থ খরচে তৈরি করা হয়েছে ১৩২০ মেগাওয়াটের মৈত্রি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ বিদ্যৎ উন্নয়ন পর্ষদের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে।