
কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের উপর আকস্মিক জঙ্গি হামলায় নিহত ছাব্বিশ জনের পরিবার শোকে নিমজ্জিত। তাদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে আজ সন্ধ্যায় বহরমপুরের কংগ্রেস পার্টি অফিস থেকে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মোমবাতি মিছিলে বহু কংগ্রেস কর্মী সমর্থক সহ অধীর চৌধুরী নিজেও মোমবাতি হাতে নিয়ে হাটলেন।

তিনি জানালেন এই দুর্দিনে পরিবারে পাশে শুধু দাড়ানোই নয় এই ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা জানালেন। দেখুন ভিডিও

এদিন কংগ্রেস কার্যালয় থেকে মোমবাতি হাতে নিয়ে মৌন মিছিল করা হয় বহরমপুর শহর ও জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, প্রাক্তন জেলা পরিষদ সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার সহ কংগ্রেসের নেতৃত্ব, এদিনের এই মিছিল কংগ্রেস কার্যালয়ে থেকে শুরু হয়ে শহর পরিক্রমা করে কংগ্রেস কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, “যখন উগ্রপন্থীরা কোনো বিভেদ করে না হিন্দুদের মধ্যে, তখন আমরা কেনো জাত-পাত, ভাষা, আঞ্চলিক জাত্যভিমান, প্রাদেশিক পরিচিতি, খাদ্যাভ্যাস, সংস্কার, সংস্কৃতি, উদারপন্থা, মধ্যপন্থা, দক্ষিণপন্থা ইত্যাদি শ্রেণীতে বিভক্ত থাকবো?সময় এসেছে বোঝার:-নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান,মুছে ফেলো সীমারেখা, সব ব্যবধান, উপলব্ধি করো সব হিন্দুরাই এক সমান।

পহেলগাঁওয়ের উপত্যকায় কোনো বাঙালি, ওড়িয়া, মারাঠী, কন্নড়, হরিয়ানভি, তামিল, মালায়ালি… কে হত্যা করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছে হিন্দুদের।কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশ, একটাই লক্ষ্য; হিন্দুদের বেছে বেছে করতে হবে শেষ।যখন হিন্দুদের বিরুদ্ধে শত অপকর্ম,তখন ধর্মই হোক আমাদের একমাত্র বর্ম।সময় এসেছে বোঝার তাই,ভণিতা ছেড়ে বলো.. ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই।”
