দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে পাচার বন্ধ করার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য ব্যবস্থা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ওপর জোর দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

মঙ্গলবার বহরমপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অধীরবাবু বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ জেলার হাজার হাজার বেকার যুবক পাচারের সাথে জড়িত। তাঁরা পাচারকেই রুটি রুজি রোজগারের একমাত্র হাতিয়ার বলে মনে করেন। মুর্শিদাবাদ জেলার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা সকলেই জানেন এই জেলা দিয়ে কীভাবে বছরের পর বছর গবাদি পশু এবং অন্যান্য জিনিস বাংলাদেশে পাচার হয়।’ 

তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন জিনিস পাচার হয়ে যাওয়ার ফলে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়েই রোজ প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে এবং সেই টাকা গিয়ে ঢুকছে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির পকেটে। ইতিমধ্যেই আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করে তাঁকে একাধিক ভিডিও দেখিয়ে বলেছি কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য কিছু জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো দিয়ে পাচার হয়।’

অধীরবাবু দাবি করেন, ‘কেবল মুর্শিদাবাদ নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে হিলি সীমান্ত হয়ে আসামের বিস্তৃত অংশ দিয়ে রোজ ভারত থেকে গবাদিপশু সহ অন্যান্য জিনিস বাংলাদেশে পাচার হয়ে চলেছে।’ 

লোকসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও অবাধ বাণিজ্য চালু হলে এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নিয়মিত আমদানি-রপ্তানী শুরু হলে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে পাচার অনেক কমে যাবে।

এর পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার যদি সীমান্তের কাছাকাছি এলাকাতে জীবজন্তুর হাট তৈরি করে তাহলেও পাচার অনেকটাই কমতে পারে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার দু’দেশের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চালু করলে বর্তমানে যারা পাচারকারী হিসেবে পরিচিত তারাই ‘ব্যবসায়ী’ পরিচিতি লাভ করতে পারে।’ 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here