দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি আধিকারিকদের ‘এ বি সি ডি’ অভ্যেস নিয়ে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার লোক সংস্কৃতি ভবনের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী শস্য গোলা বর্ধমানের চাষের খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। কেমন বৃষ্টি হয়েছে, কতটা জমিতে চাষ হয়েছে, যেটায় হয়নি সেটা কেন হয়নি, ইত্যাদি প্রভৃতি। সেখানেই কৃষি দফতরের আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ৯৭ শতাংশ জমিতে ধান চাষ হয়েছে।
বাকি যে তিন শতাংশ, সেখানে জল জমে থাকার জন্য করা যায়নি। ওই জমি থেকে জল ছেঁচে ফেলতে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দেন। তখন এক আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, “ম্যাডাম অলরেডি এই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেকে সে সব দেখেননি।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ! আমাদের মধ্যে অনেকের এ বি সি ডি অভ্যেস রয়েছে।”
এ বি সি ডি অভ্যেসটা কী?
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সেটা ব্যাখ্যা করে বলেন, “এ-তে অ্যাভয়েড, বি-তে ব্লক, সি-তে কনফিউশন আর ডি-তে ডিলে।” অর্থাৎ কাজ এড়িয়ে যাওয়া, বাধা দেওয়া, জটিলতা তৈরি করা বা অযথা দেরি করা। এর কোনওটাই যে সুষ্ঠু প্রশাসনের লক্ষ্মণ নয় এবং মুখ্যমন্ত্রী যে একেবারেই তা পছন্দ করছেন না তা-ও স্পষ্ট করে দেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্ধমানের বৈঠকে বললেও এটা যে শুধু বর্ধমানের জন্য প্রযোজ্য, তা নয়। তাঁদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী সরকারের সর্বস্তরে বার্তা দিতেই এ কথা বলেছেন। গত সোমবার হাওড়ার বৈঠকে বলেছিলেন, “মানুষকে এত ঘুরতে হয় কেন? আপনারা চটপট কাজ সেরে ফেলতে পারেন না?”
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “কিছু লোক বসে আছে সরকারের বদনাম করার জন্য। তাতেই তাঁদের আনন্দ।” কিন্তু তিনি যে এ ব্যাপারে ভীষণ কড়া, তাও স্পষ্ট করেন এ দিন।