লিখছেন : সৃজনী সেনঃ
যে কোনও রান্নাঘরের তাকে অবধারিতভাবেই পাওয়া যাবে তাকে। আমিষ-নিরামিষ, যে কোনও রান্নার স্বাদ আর গন্ধ বাড়াতে চিরকালই বাঙালি রান্নাঘরে খুঁজে পাওয়া যাবে হালকা বাদামি রঙের এই পাতাটিকে। তেজপাতার কথা বলছি। এতদিন শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতে তেজপাতার কদর হলেও এখন চুলের যত্নেও তার অত্যন্ত জরুরি ভূমিকার কথা জানা গেছে। যাঁরা চুল ওঠার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা একবার তেজপাতার নির্যাস ব্যবহার করে দেখুন। মাত্র সাতদিন ব্যবহার করলেই চোখে পড়ার মতো ফল পাবেন! শুধু চুল ওঠা বন্ধেই নয়, খুসকি আর চুলের রুক্ষতা কমাতেও দারুণ কার্যকর তেজপাতা!
জেনে নিন, কীভাবে নিয়মিত তেজপাতা ব্যবহার করে সহজেই নির্মূল করতে পারবেন আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা!
চুল ওঠা বন্ধ করতে
তেজপাতার নির্যাস ব্যবহার করলে মাত্র পনেরো দিনের মধ্যে চুল ওঠা চোখে পড়ার মতো কমে যাবে। তার জন্য গোটা দশেক ভালো তেজপাতা জলে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এবার একটা পাত্রে এক লিটার জল গরম করুন। জল ফুটে গেলে তাতে তেজপাতাগুলো দিয়ে দিতে হবে। তেজপাতা সমেত জলটা পাঁচ থেকে ছ’ মিনিট ফুটতে দিন। তারপর আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে তেজপাতা তুলে ফেলে দিন। এই তেজপাতা ফোটানো জলটা দিয়ে চুল আর মাথা ধুয়ে নিন। প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে।
খুসকি তাড়াতে
চারটে ভালো তেজপাতা গ্রাইন্ডারে বা শিলনোড়া দিয়ে গুঁড়ো করুন। আধকাপ নারকেল তেলে ওই পাতার গুঁড়োটা ঢেলে দিন। নারকেল তেলের বদলে অলিভ অয়েলও নিতে পারেন। পাতার গুঁড়ো মেশানো তেলটা মিনিট পাঁচেক হালকা আঁচে গরম করে নিন। তারপর এই গরম তেলে তুলো ভিজিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় আর চুলে মেখে খুব ভালো করে মাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার মাখতেও ভুলবেন না। সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে ধারেপাশেও আর ঘেঁষবে না খুসকি।
রুক্ষ চুলের যত্নে
দু’কাপ জলে চার-পাঁচটা তেজপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ফুটে গেলে তেজপাতা ফেলে দিয়ে জলটা ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করা চুলে এই জলটা ঢেলে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করুন, তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন করলে চুলের রুক্ষতা অনেক কমে যাবে, চুল ওঠাও কমবে।