বাংলায় ‘ভুতুড়ে’ ভোটার নিয়ে হইচইয়ের আবহেই ফের উঠল এনআরসি-র প্রসঙ্গ। আবারও এনআরসি-র দাবি তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি ভোটার রয়েছে। নাহলে শাদ রাডির মতো ‘জঙ্গি’ ভোট দিল কীভাবে? একই সঙ্গে তাঁর দাবি, উত্তরাখন্ড-গুজরাটে ইতিমধ্যেই এনআরসি হয়েছে। মহারাষ্ট্র শুরু করেছে। এনডিএ শাসিত রাজ্যে এনআরসি-র কাজ চলেছে।
রবিবার অর্থাৎ ২৩শে ফেব্রুয়ারি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সম্মেলন করেছেন সুনীল বনশল। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, “সমস্ত দল মিলে এনআরসি-র দাবি করা উচিত। ভারতীয় নাগরিক হলেই ভোটার লিস্টে নাম উঠবে। আধার কার্ড থাকবে। এটাই করুন না…। উত্তরাখণ্ড করেছে, গুজরাট করেছে, মহারাষ্ট্র শুরু করেছে। অন্য রাজ্যও করছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এই কাজ শুরু করেছে। আমাদের বাংলা বর্ডারিং স্টেট। আমাদের পাশেই বাংলাদেশ-নেপাল-ভূটান। আমরা এনআরসি করে কে ভারতীয় নাগরিক আর কে নয় তা চিহ্নিত করে দিই।
নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের প্রশ্ন, “আমাদের প্রশ্ন শাদ রাডি ভোট দিল কীভাবে? এই রাজ্যে বেআইনি ভোটার আছে, রোহিঙ্গা আছে। এখানে নির্বাচন কমিশনের কোনও রোল নেই।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই ভোটার তালিকা যাচাই শুরু করে প্রশাসন। বেশ কিছু জেলায় ইতিমধ্যেই ভুতুড়ে ভোটারের তালিকা ধরা পড়েছে বলে অভিযোগও জমা পড়তে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেই বারুইপুরের চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকার স্ক্রুটিনি করা হয়। দেখা যায়, যে পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটার সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ হাজারের মতো, তা বেড়ে ২২ হাজার ৪০০ হয়ে গিয়েছে। এক বছরের কম সময়ে একই এলাকায় এত ভোটার বাড়ল কী করে? শুরু হয়েছে শোরগোল।