দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আজ বেলা ১১’টা নাগাদ কুম্ভে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রয়াগরাজের সঙ্গমে ডুব দেওয়ার কথা ।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্নান করবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। গত রাত তিনি প্রায় জেগেই কাটিয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গন এবং প্রধানমন্ত্রীর স্নানের খুঁটিনাটি নিয়ে আধিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এদিকে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর মহাকুম্ভে স্নান করার সিদ্ধান্তে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা। আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস অভিযোগ করেছে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ভোটারদের প্রভাবিত করতেই কুম্ভস্নানের জন্য বুধবারকে বেছে নিয়েছেন। পরিকল্পনা করেই তিনি মকর সংক্রান্তি, মৌনি অমাবস্যা এবং বসন্ত পঞ্চমীর মতো আগের তিনটি শাহি স্নানের দিন প্রয়াগরাজে যাননি।
যদিও বিজেপির দাবি, সাধারণ পূণ্যার্থীদের সমস্যা হতে পারে বলেই প্রধানমন্ত্রী বাড়তি ভিড়ের দিনগুলি স্নানের জন্য বেছে নেননি। বিজেপি আরও বলছে, বুধবার মাঘী অষ্টমী তিথি। এই দিনে ভীষ্ম শরশয্যায় শুয়ে ইচ্ছামৃত্যুর বাসনা পূরণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেই কারণে এই দিনটি বেছে নিয়েছেন।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২৯ জানুয়ারি কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ঘটনায় যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিতলির অভিযোগ উঠেছিল। অথচ তদন্ত শেষের আগেই মুখ্যমন্ত্রী ষড়যন্ত্রের কথা বলে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তাঁর সরকার পদপিষ্ট হয়ে তিরিশজনের মৃত্যুর কথা জানালেন বিরোধীদের দাবি, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি।