দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। এএনআই সূত্রের খবর, মহাকুম্ভের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণা এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা স্পষ্ট করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে ২টোর মধ্যে ওই ঘটনা ঘটে। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় মিলেছে, বাকি ৫ জনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬০। মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।
https://x.com/ANI/status/1884589584329379897?t=LUh9BRRVQ6XKrvG_TH2OnA&s=19
মহাকুম্ভের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণা জানিয়েছেন স্থানীয় একটি হাসপাতালে ৩৬ জনের চিকিৎসা চলছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বিপুল সংখ্যক ভক্তের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে গিয়ে বিপত্তি হয়েছিল। মৌনী অমাবস্যায় স্নানের ব্রহ্ম মুহূর্তের আগে এই ঘটনা ঘটে। আখাড়া রুটের সামনে বিপুল জমায়েত হয়েছিল। সেই সময়েই ব্যারিকেড ভেঙে মাটিতে পড়ে যান বহু পুণ্যার্থী। তাঁদের উপর দিয়েই দৌড়ে যান ব্রহ্ম মুহূর্তের অপেক্ষা করা বাকিরা।
কুম্ভের ডিআইজি জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পরেই দ্রুত প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য গ্রিন করিডর তৈরি করা হয়। অন্তত ৯০ জনকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন বৈভব কৃষ্ণা।
গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী এই তিন নদীর সঙ্গমে মৌনী অমাবস্যায় ‘শাহি স্নানে’র সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিল যোগী সরকার। তা সত্ত্বেও কেন দুর্ঘটনার শিকার হলেন পুণ্যার্থীরা? প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ প্রচুর মানুষ সঙ্গমের তীরে এসে পৌঁছেছিলেন। অনেকেই মাথায় ভারী মালপত্র নিয়ে এসেছিলেন স্নান করতে। নদীর তীরে লোহার বেশ কিছু ডাস্টবিন রাখা ছিল, যা ভিড়ের মধ্যে অনেকেরই দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। তাতেই ধাক্কা খেয়ে বহু পুণ্যার্থী মাটিতে পড়ে যান। মাথায় থাকা মালপত্রও ছিটকে পড়ে। মালপত্র এবং মাটিতে পড়ে যাওয়া পুণ্যার্থীদের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আরও অনেকে পড়ে যান। তাঁদের মাড়িয়েই এগোতে থাকেন অন্যেরা। চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা।
মৌনী অমাবস্যার দিনে অমৃত স্নান করে বিভিন্ন আখাড়ার সাধু-সন্তরা। এ দিনের ঘটনার পরে স্নান বন্ধ ছিল কিছুক্ষণের জন্য। সকাল ১০টার পরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে প্রশাসন। তারপরে আখাড়াগুলি অমৃত স্নানে যায়।