দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুধু ভোট প্রচারে নয়, দিল্লিতে বসেও বহুবার এর আগেও বাংলার রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাতে এনডিএ-র শরিকদের নিয়ে নৈশভোজের টেবিলেও সে প্রসঙ্গ তুলে আনলেন মোদী-অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গে ভোট-হিংসাকে নিন্দা করে সর্বসম্মত প্রস্তাবও নেওয়া হল ওই বৈঠকে।
লোকসভা ভোট শেষ হতেই কম বেশি ১৪ টি বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ হয়েছে। তার মধ্যে ১২ টি সমীক্ষারই পুর্বানুমান হল কেন্দ্রে ফের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। সেই আত্মবিশ্বাসের আবহেই এ দিন চলতি মেয়াদের বিদায়ী নৈশভোজ দেন প্রধানমন্ত্রী। আবার ওই নৈশভোজের বৈঠক থেকে আগামী পাঁচ বছরের কর্মসূচির জন্য প্রস্তাবও গৃহীত হয়।
বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, লোকসভা ভোটের সময় বাংলায় যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তাকে এনডিএ-র সব শরিক সর্বসম্মত ভাবে নিন্দা করেছে। বাংলায় সাত দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছে, এবং প্রতিটি দফাতেই হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভোটে হিংসার কারণে তিন জনের মৃত্যু হয়। এই বল্গাহীন সন্ত্রাসের জন্য শাসক দল তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন এনডিএ-র শরিকরা।
পর্যবেক্ষকদের মতে, নৈশভোজের বৈঠকে বাংলার বিষয়আশয় তুলে আনা তাৎপর্যপূর্ণ। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বাংলার রাজনীতি নিয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রুচি এখন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বাংলায় ক্ষমতা দখলের স্বাদও নিতে চান তাঁরা। আর সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনাকে জাতীয় স্তরে ইস্যু করতে চাইছেন মোদী-অমিত শাহরা।
যদিও বিজেপি-কে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের এক মুখপাত্রের কথায়, স্বপ্নের পোলাওতে ঘি ঢেলে চলেছেন মোদী। কিন্তু বাংলাতেও ওদের আসন বাড়বে না, কেন্দ্রেও আর ফিরবে না। তার আগে ওরা শেষ আনন্দ করে নিচ্ছেন।
বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি কটি আসন পাবে সেটা হয়তো এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে যেটা বোঝা যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে মেরুকরণের ফলে বিজেপি-র ভোট শতাংশ নির্ঘাত অনেকটাই বেড়ে যাবে। তা থেকেই হয়তো আশান্বিত হচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, তাঁরা মনে করছেন কেন্দ্রে ফের বিজেপি সরকার গঠন করতে পারলে, বাংলায় বিজেপি-র বৃদ্ধি আরও হবে এবং একুশের ভোটে তৃণমূলকে বড় ধাক্কা দেওয়া যাবে।