‘দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই…’, বাবার অপমানে গর্জে উঠলেন হাসিনা
দেশ ছাড়ার পরে এই প্রথম কোনও বিবৃতি দিলেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানকে চরম অবমাননা করা হয়েছে বলে জানালেন তিনি। একইসঙ্গে অপমানিত করা হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বলেও জানিয়েছেন হাসিনা। তার বিচার চাইলেন বাংলাদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।
একইসঙ্গে আগামী ১৫ অগস্ট, ধানমান্ডিতে , বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানোর আবেদন জানান তিনি। মঙ্গলবারই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ১৫ অগস্টের ছুটি বাতিল করেছে। মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে হওয়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে এবং ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আর এদিনই হাসিনার বক্তব্য নিজের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
https://x.com/sajeebwazed/status/1823375906247004210?t=ajgGbYa5byQC9Y5RM2cuTQ&s=19
উল্লেখ্য, গত ৫ তারিখ বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেদিনই ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ধানমান্ডিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে। বাংলাদেশ জুড়ে ভাঙচুর করা হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সম্বলিত বিভিন্ন সৌধ এবং ভাস্কর্যে। ভেঙে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুর মূর্তি। হাসিনা জানিয়েছেন, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা এবং আত্মপরিচয় পেয়েছে তাঁদের অবমাননা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট, সপরিবারে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেদিন কীভাবে তাঁকে হত্যা করা হয় তাও ওই বিবৃতিতে জানিয়েছেন হাসিনা। এতদিন ১৫ অগস্টকে বাংলাদেশে শোক দিবস হিসেবে পালন করা হত। কিন্তু এবার ‘জাতীয় শোক দিবসে’র সেই ছুটি বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
হাসিনার ওই বিবৃতিতে জুলাই মাসে শুরু হওয়ার কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হিংসার প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানের আন্দোলনের নামে হিংসা, নাশকতা এবং অগ্নিসংযোগের কারণে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের প্রতিও শোকজ্ঞাপন করেন হাসিনা। সেইসঙ্গেই ওই হত্যাকাণ্ড এবং নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবিও জানান হাসিনা।