দেশের সময় কলকাতা আগামী কয়েক ঘন্টাব মধ্যে কলকাতা সংলগ্ন একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
রাজ্যের ১৩টি জায়গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হয়েছে বুধবার। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেই তালিকায় আছে কলকাতাও। যদিও মঙ্গলবারের চেয়ে কলকাতার তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। বুধবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। এমনই সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বুধবার সন্ধেতেই তীব্র গরম থেকে কিছু হাফ ছেড়ে বেঁচেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ। কারণ দিঘা- সহ উপকূল এলাকা জুড়ে দেখা মেলে কালবৈশাখীর। ঝড়ে বিশাল বড় গাছ ভেঙে পড়ে সৈকত-নগরী দিঘায়। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন পর্যটক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বিশাল ঝাউ গাছটি একটি গাড়ির উপরে ভেঙে পড়ে বলে জানা গেছে। ওই গাড়িতে থাকা পর্যটকরা তখন নেমে দাঁড়িয়েছিলেন কিছুটা দূরে। তাই বরাতজোরে রক্ষা পান তাঁরা।
দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায় বুধবারই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের কিছু কিছু জায়গায় লাল সতর্কতা বজায় থাকছে।
এছাড়াও অন্যান্য জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় জারি থাকছে কমলা সতর্কতা। বৃহস্পতিবার লাল সতর্কতা জারি থাকবে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমানের বেশকিছু জায়গায়।
কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৭.৪ ডিগ্রি বেশি। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৯ ডিগ্রি বেশি। এই দাবদাহের মধ্যে বৃষ্টির খবরে খুশি হবে বঙ্গবাসী।
অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও তাপমাত্রায় রাজ্যের বাকি সব এলাকাকে টেক্কা দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা। সেখানে বুধে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্যে সেটিই সর্বোচ্চ। এ ছাড়া অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হয়েছে মালদহ, বালুরঘাট, উলুবেড়িয়া, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর, ক্যানিং, হলদিয়া, মগরা, পানাগড়, আসানসোল এবং ঝাড়গ্রামে।
আলিপুর জানিয়েছে, আগামী তিন দিন বাংলায় বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। রবিবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে যে বাতাস স্থলভাগে ঢোকার ফলে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়, রবিবার থেকেই রাজ্যে সেই বাতাস ঢুকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার আগে শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের সর্বত্র তাপপ্রবাহ চলবে।