দেশের সময় এর প্রতিনিধি সঙ্গীতা চৌধুরীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কল্যাণী মণ্ডল জানালেন “ছোটবেলায় দুর্গাপুজো আসার আগে খুব আনন্দ হত। তখন পুজোর মাহাত্ম্য আলাদা করে কিছু বুঝতাম না। পুজো মানেই ছিল নতুন জামাকাপড় পাওয়া। নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে কটা জামা পেলাম তার হিসেব কষা। সে সময় পুজোয় নতুন জামাকাপড় পড়ে বাবা – মায়ের হাত ধরে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আনন্দই ছিল আলাদা। তারপর ফুচকা, আইসক্রিম, সাদা- গোলাপি বুড়ির চুল ও আরো কত কি যে খাওয়া হত ! সেই খাওয়ার আনন্দ কোন পাঁচতারা হোটেলে খাওয়ার থেকে কম ছিল না।
এখন সময় পাল্টেছে। আজকাল আর ঠাকুর দর্শনের জন্য বেরতে পারি না কারন অনেকেই ঘিরে ধরেন। তাই এখন বাড়িতে বসেই পুজোর আনন্দ উপভোগ করি। কখনও মাইকে মন্ত্রোচ্চারন, আবার কখনও ঢাকের আওয়াজ, কখনও মানুষের কোলাহল – বেশ লাগে ! তবে অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে বা পুজোর ভোগ খেতে মণ্ডপে চলে যাই। একসময় মহিলা পরিচালিত পাড়ার একটি পুজোয়, ঠাকুর ভাসানের সময় আমরা নাচতে নাচতে ভাসানেও চলে যেতাম। সে ছিল এক অন্য আনন্দ!
পুজোর সময় কলকাতার বাইরে যেতে একেবারেই মন চায় না। বরং এই সময় পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বেশ ভালো লাগে। আর পুজো মানেই আমার কাছে ভাই – বোনদের একত্রিত হওয়া এবং স্মৃতি রোমন্থনে বুঁদ হয়ে যাওয়া। কারন সারা বছর সবার সঙ্গে যোগাযোগের তেমন একটা সুযোগ হয় না।
এখন পুজোর সময় আর বিভিন্ন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার সুযোগ নেই, শুধু মাঝেমাঝে যখন পুজো পরিক্রমায় যেতে হয় তখন বেশ কিছু ভালো ঠাকুর দেখা হয়ে যায়। তবে পুজোর অন্যান্য দিনগুলো যে ভাবেই কাটাই না কেন, নবমীর দিন কিন্তু আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কোনও হোটেলে বা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবার খাই। দীর্ঘদিন ধরেই এটা করে আসছি।”