দেশের সময় , কলকাতা: ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।
যদিও অভিষেকের বক্তব্য সংশোধন করে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়েই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বিজেপি নেতাদের বাড়ি নয়, ১০০ মিটার দূরে ঘেরাও কর্মসূচি করা হবে।
তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছেন।
বঙ্গ-রাজনীতির এই আবহের মধ্যেই রবিবার সস্ত্রীক দিল্লি গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে বিজেপির করা এফআইআর, মামলা নিয়ে ভাবিত নন, তা এদিন বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে অভিষেকের সংক্ষিপ্ত জবাবেই স্পষ্ট।
এদিন স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে বিজেপির তরফে মামলা করা হয়েছে বলে অভিষেকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। জবাবে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তৃণমূলের তথাকথিত সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ডের সংক্ষিপ্ত উত্তর, “শুভেচ্ছা রইল।” অর্থাৎ বিজেপির মামলা করা নিয়ে যে তিনি মোটেও ভাবিত নন, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল সেনাপতি।
অন্যদিকে, বিজেপি কেবল আদালত চেনে বলে কটাক্ষ করেছেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সৌগত রায়। সোমবারের বিরোধীদের ধর্নামঞ্চে যোগ দিতে এদিন তিনিও দিল্লি পাড়ি দেন। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতাদের মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শুভেন্দু তো রাজ্যপাল আর আদালতটাই চেনেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে ভূত হয়ে আছেন। নানা যুক্তি নানা কায়দা করছেন। অভিষেকের প্রোগ্রাম তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটারের বাইরে থাকবে। এরপর আর কী বলার আছে!”
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে অভিযোগ তুলে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই টাকা আদায়ের দাবিতেই আগামী ৫ অগস্ট বিজেপির সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করার কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন অভিষেক।
যদিও পরে মঞ্চে উঠে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কর্মসূচির কিছুটা সংশোধন করে জানান, বুথ ভিত্তিক নয়, রাজ্যজুড়ে ব্লক ভিত্তিক বিজেপি নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করা হবে।