দেশের সময়, কলকাতা : বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে আদালত। তারপরেই বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে কুড়িটি বুথে ভোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সিঙ্গুর, সাঁকরাইল এবং হাওড়ার বুথগুলিতে আবার ভোটগ্রহণ হবে। সেই সঙ্গেই এবার জয়ী প্রার্থীরা সত্যিই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন কিনা সে ব্যাপারটি যে আদালতের রায়ের উপরেই নির্ভর করছে, তা জানানোর জন্য এবার নির্বাচন কমিশন জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে সেকথা জানিয়ে দিল।
এই ভোট-হিংসার দায় যে সম্পূর্ণভাবেই কমিশনের, সেকথাও জানিয়েছিল আদালত। সেই সঙ্গে রাজ্যের সাধারণ মানুষের শান্তিরক্ষার দায় রাজ্য সরকারের উপরেই বর্তায় বলে সাফ জানিয়েছিল আদালত।
এছাড়া পুনঃনির্বাচনের ব্যাপারে কমিশনকে ভেবে দেখতে বলেছিল আদালত। তারপরেই বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে অনিয়মের অভিযোগে সাঁকরাইলের ১৫টি, সিঙ্গুরের একটি এবং হাওড়ার চারটি বুথে ভোট বাতিলের কথা জানিয়ে দেয় কমিশন। সেই সঙ্গে, নির্বাচিত প্রার্থীদের ভবিষ্যতের বিষয়ে আদালতের রায়ই যে চূড়ান্ত, এ কথা জানানোর জন্য ২২টি জেলার জেলাশাসকদের চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ফল ঘোষণার হওয়ার পর পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। সেই আবহেই ভোট হিংসা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এছাড়া পৃথকভাবে একটি মামলা করেছিলেন ফারহাদ মল্লিক নামে একজন। তিনটি মামলার সম্মিলিত শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পঞ্চায়েত ভোটে অনিয়ম এবং হিংসা নিয়ে আদালতে জমা পড়া ভিডিওগুলি খুঁটিয়ে দেখেন। তারপরেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী প্রার্থীরা আদৌনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে থাকতে পারবেন কিনা, তা ঠিক করে দেবে আদালতই।