অর্পিতাবনিক, গোবরডাঙা: নাটকের শহর গোবরডাঙা।
তার নাট্যচর্চার ইতিহাস এবং ধারাবাহিকতা দেখলেই সহজেই স্পষ্ট হয় বিষয়টি। আর গোবরডাঙার নাট্যচর্চার মুকুটে অন্যতম উজ্জ্বল এবং রঙিন পালকের নাম শিল্পায়ন ৷ দেখতে দেখতে যা পার করে ফেলেছে ৪৩ বছর, এই নাট্যদলের পরিচালক আশিস চট্টোপাধ্যায় ৷ থিয়েটারই যার ধ্যানজ্ঞান ৷
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম স্টুডিয়ো থিয়েটারের অনুমোদন পেয়েছে গোবরডাঙা শিল্পায়ন। অনুমোদন করেছে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক। রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসু, প্রবীর গুহ, শেখর সমাদ্দার, অমিত ব্যানার্জী সহ নাট্যজগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা যাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
গোবরডাঙা শিল্পায়ন স্টুডিয়ো থিয়েটারের কনসেপ্ট-এ গোবরডাঙায় গড়ে উঠেছে এই গোবরডাঙা শিল্পায়ন নাট্য বিদ্যালয়। ২০২০ সালে ২৬ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় শিল্পায়ন নাট্য বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ৷ দেখুন ভিডিও
এখানে এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির বেলুর মঠের সহযোগীতায়৷ শুধুমাত্র অভিনয় পেশায় আগ্রহী মানুষেরাই নয়, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সহ যে কোনও পেশার মানুষই এই কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। এই সার্টিফিকেট কোর্সে সংস্কৃতি মন্ত্রক, ভারত সরকারের ফেজ ভ্যালু থাকবে। এছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর থিয়েটার স্টাডিস এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই নাট্টবিদ্যালয়৷
এখানে এক বছরের ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট কোর্স করানো হচ্ছে বলে জানান শিপ্পায়ন নাট্টবিদ্যালয়ের কর্ণধার আশিষ চট্টোপাধ্যায় ৷
প্রথমদিন থেকে মননশীল নাট্যচর্চায় ব্রতী শিল্পায়ন এখন শুধু এই মফস্বল শহরেই নয় রাজ্য ছাড়িয়ে দেশেও পরিচিত নাম।
নাটকের আছে নিজস্ব ভাষা। যে ভাষার কোন দেশ কাল বা জাতিভেদের বেড়া নেই। নাট্যমোদী মানুষ বুঁদ হয়ে যান নাটকের নিজস্ব ভাষাতেই। এই চিরন্তন সত্যিটাই ফের একবার স্পষ্ট করতে চলেছে শিল্পায়ন ৷ ভারতবর্ষের প্রথম বেসরকারি নাট্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আশিষ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় আগামী জুলাই মাসে মঞ্চস্থ হতে চলেছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নাটক পদ্মানদীর মাঝি ৷ এখন জোর কদমে চলছে তারই প্রস্তুতি ৷