দেশের সময়ওয়েব ডেস্কঃ সোমবার সুরাটের দায়েরা আদালতে হলফনামা জমা দেন ওয়ানাডের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। সূত্রের খবর, রায়ের উপর স্থগিতাদেশের পাশাপাশি লোকসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতেও আবেদন করেছেন তিনি।
রাহুল গান্ধীকে জামিন দিল সুরাত আদালত। মোদী পদবি ইস্যু নিয়ে মানহানি মামলায় স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা । আগামী ১৩ এপ্রিল ফের এই মামলা শুনবে গুজরাত আদালত।
প্রসঙ্গত, মোদী পদবিধারীদের মানহানির অভিযোগে সুরাতের নিম্ন আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছর কারাবাসের সাজা শোনায়। যদিও সেই মামলায় সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। সোমবার রাহুলের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আজই ছিল সেই মামলার শুনানি।
সুরাত আদালত এদিন শুনানি শেষে রাহুলের জামিনের মেয়াদ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল। ফলে এখনই কংগ্রেস নেতাকে জেলে যেতে হবে না। এদিকে, রাহুলের সাজা শোনানোর পরই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাঁকে বাংলো ছাড়ার নোটিসও ধরিয়েছে লোকসভার সচিবালয়।
রাহুলের সাজা মকুবের আর্জি নিয়ে শুনানিতে মামলাকারী পূর্ণেশ মোদীর আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। ফলে বিচারক আজ ওই মামলার শুনানি করতে চাননি। তিনি পূর্ণেশ মোদীকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেন। ১০ এপ্রিলের মধ্যে পূর্ণেশ মোদীকে আদালতকে লিখিতভাবে রাহুলের আর্জি সম্পর্কে নিজের অবস্থান জানাতে হবে। ১৩ এপ্রিল হবে পরের শুনানি। সেদিন রাহুলকে আর উপস্থিত থাকতে হবে না।
সোমবার সুরাত আদালতের বাইরে ছিল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের ভিড়। দুপুর নাগাদ আদালতে আসেন রাহুল গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেসের দুই মুখ্যমন্ত্রী রাজস্থানের অশোক গেহলট ও হিমাচলের সুখবিন্দর সিং সুখ্যু, দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল প্রমুখ।
এদিন রাহুল সুরাতের নিম্ন আদালতে সাজা মুকুবের আর্জি পেশ করেন। যদিও সেব্যাপারে আদালত কিছু বলেনি। অর্থাৎ এখনই কংগ্রেস নেতার সাজা মুকুব হল না। এদিকে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে বিচারকের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই রাহুল প্রথমসারির নেতাদের নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছেন রাহুল। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র, আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরদের বক্তব্য, রাহুল গান্ধীর আদালতে সশরীরে উপস্থিত থাকারও দরকার ছিল না। তিনি আসলে চাপ তৈরির জন্য দলবল নিয়ে হাজির হয়েছেন।
এদিকে, কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে সুরাতে পুলিশ কংগ্রেস কর্মীদের গৃহবন্দি করে রেখেছে। যাতে তারা রাহুল গান্ধীর সমর্থনে স্লোগান দিতে না পারে। বিজেপি আসলে রাহুলের জনপ্রিয়তায় ভীত।