দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হাইভোল্টেজ গুজরাট! সকাল ৮’টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গুজরাটও হিমাচলপ্রদেশে ভোট গণনা শুরু হয়েছে ।
গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনে ভোট গণনার শুরুতেই ঝড় তুলেছে বিজেপি।
প্রাথমিক গণনার ফলাফল অনুযায়ী গুজরাটে বিজেপি বিরোধী দল কংগ্রেসের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে।
গুজরাটে এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিজেপি ১৫৬টি আসনে এগিয়ে। কংগ্রেস এগিয়ে ১৭টিতে। অন্যদিকে, হিমাচলপ্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে । প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে কখনও এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি, কখনও কংগ্রেস।
গুজরাতে ফলের প্রাথমিক প্রবণতায় আপ তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি। তবে প্রাথমিক ফলাফলেই স্পষ্ট, প্রাক নির্বাচনী আভাস অনুযায়ী আপ ভোট কেটে কংগ্রেসের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে। হিমাচলে এই মূহূর্তে কংগ্রেস ৩৩টি, বিজেপি ৩২টি’তে এগিয়ে।
ভোটের আগের সমীক্ষাগুলিতে বলা হয়েছিল, আপ দশ শতাংশের মতো ভোট পাবে। বিজেপি নাকি কংগ্রেস, কাদের ভোট কাটবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পার্টি, তা নিচে চর্চা ছিল তুঙ্গে। এখন প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আপ উনিশ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এই প্রবণতাই স্থায়ী চেহারা নিলে কংগ্রেসের আশঙ্কাই মিলে যাবে। প্রচারে কংগ্রেস বারে বারে বলেছে, আপ এসেছে বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে।
তবে গুজরাতে বিজেপির প্রচারও ছিল দেখবার মতো। ২৭ বছর ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ঢেউ বইতে পারেনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাগাতার প্রচারের ফলে। এক বছর আগে থেকেই গুজরাতে লড়াইয়ের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দেন গুজরাতের আর এক নেতা অমিত শাহ।
অন্যদিকে, বিজেপিকে জব্দ করার নানা ইস্যু থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস তেমন দাগ কাটতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঢিলেঢালা মনোভাব এবং দলের রাজ্য ইউনিট সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারায়।
বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্য হিমাচলপ্রদেশের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানে ১৯৯০-এর পর থেকে পাঁচ বছর পর পর সরকার বদল হয়ে আসছে। গত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভের পাহাড় তৈরি হয়েছিল। তাতে নয়া মাত্রা যোগ করে সেনায় নিয়োগের অগ্নিপথ স্কিম। আর বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের কাঁটা তো ছিলই।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী ময়দানে অবতীর্ণ হওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটা বদলে যায়। তারপরও জয় নিয়ে সংশয় আছে। ফলাফলের প্রবণতায় বিজেপির সরকার গড়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত, বলা যাবে না।
গুজরাতের তুলনায় হিমাচলে কংগ্রেস বরং অনেক বেশি লড়াই করেছে। ওই রাজ্যে দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের মৃত্যুতে দল এবার কার্যত অভিভাবকহীন ছিল। তারপরও প্রচারে কংগ্রেস যথেষ্ট সাড়া ফেলে। এখন দেখার হিমাচলের ফল কী হয়।