দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গুরু নানক জয়ন্তি উপলক্ষে শহিদ মিনারে বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সঙ্গে গুরু পূরবের শুভেচ্ছা জানালেন সকল শিখ ধর্মাবলম্বীদের। পাশাপাশি, গুরু নানক ভবনের জন্য সরকারি জমি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিশেষ শর্তও রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গুরু নানক ভবনের জন্য আপনারা আমায় অনুরোধ করেছিলেন। আপনারা যে সরকারি জমিটি চেয়েছিলেন সেটির মূল্য ৬ কোটি টাকা। এত টাকার জমি সরকার এমনিই দিয়ে দিতে পারে না।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনারা আরও একটি আবেদনপত্র পাঠান। সেখানে উল্লেখ করুন এই জমিতে যে এই জমিতে গুরু নানক ভবন
তৈরি করা হবে তা জনহিতকর কাজে ব্যবহার করা হবে। আপানা জানান, গুরুদ্বারায় লঙ্গর চালাতে চান, গেস্ট হাউজ কিংবা কোনও জনসেবামূলক কাজে এই জমির ব্যবহার করতে চান। তবে আমি এক টাকার বিনিময়ে এই জমি আপনাদের দিয়ে দেব। হিডকো বোর্ডে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রশাসন বিষয়টা দেখে নেবে।” এরপরই শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে মমতার আবদার, “আমার জন্য বাড়িতে একটু হালুয়া পাঠিয়ে দেবেন।”
প্রসঙ্গত , ৮ নভেম্বর অর্থাৎ আগামিকাল দেশজুড়ে পালিত হবে গুরু নানক জয়ন্তী। এই তিথিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন নানক দেব। গুরু নানক জয়ন্তী শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক মহোৎসব।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ছটপুজোর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তক্তাঘাটে মুখ্যমন্ত্রী ভক্তদের ছটপুজোর শুভেচ্ছা জানান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি সকলের জন্য ছটি মাইয়ার কাছে প্রার্থনা করেছি। ছটি মাইয়া যেন আপনাদের ভালো রাখে, সুস্থ রাখে। আপনাদের মনবাঞ্ছা পূর্ণ করুক। আপনাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি হোক।”
একইসঙ্গে মজার ছলে তিনি জানান, ছটপুজোর প্রসাদ ঠেকুয়া খেতে খুব ভালোবাসেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশি খাব না। মোটা হয়ে যাব। কিন্তু, খুব টেস্টি। আমায় পাঠিয়ে দেবেন ঠেকুয়া। আমি ঠেকুয়া খেতে খুব ভালোবাসি।” দুর্গাপুজো হোক, ইদ কিংবা গুরু নানক জয়ন্তী, সমস্ত ধর্মের উৎসবেরই অংশ নিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
বারবার তিনি একটাই কথা সকলকে বলেন, “ধর্ম যার যার উৎসব সবার।” পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি ধর্মের মানুষকেও ঠিক একইভাবে অপরের ধর্মের প্রতি সহিষ্ণ হওয়ার এবং অন্য ধর্মের উৎসবের আননন্দের সঙ্গে অংশ নেওয়ার কথা জানান।