দেশের সময়,: আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো নবমীতে জেলায় জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজেছে মহানগরীও। মেঘলা আকাশ আর হালকা বর্ষার কারণে বিকেলের দিকে ভিড় তেমন না থাকলেও সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।
নবমীতে বনগাঁয় যে পুজোগুলি সব চেয়ে বেশি লোক টেনেছে, তার মধ্যে রয়েছে ইছামতী শারদ উৎসব কমিটি, প্রতাপগড় স্পোর্টিং ক্লাব, ১২-র পল্লী স্পোর্টিং ক্লাব, অভিযান সংঘ, জাগ্রত সংঘ, মতিগঞ্জ ঐক্য সম্মেলননী ক্লাব, বসাক পাড়া ডায়মন্ড ক্লাব ও পেয়াদা পাড়া স্পোর্টিং ক্লাব ৷
নবমীতে কলকাতার যে পুজোগুলি সব চেয়ে বেশি লোক টেনেছে, তার মধ্যে রয়েছেচেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘ, ত্রিধারা সম্মিলনী, হাতিবাগান নবীনপল্লি, একডালিয়া এভারগ্রিন, কলেজ স্কোয়ার, টালা পার্ক প্রত্যয়, সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার, দমদম তরুণ দল।
উৎসবের শেষ বেলায় জনজোয়ার দেখল শহর কলকাতা ও সীমান্ত শহর বনগাঁ। সাবেকি থেকে থিমপুজো, মণ্ডপে মণ্ডপে মহাভিড় দেখা গেল নবমীর সন্ধ্যা থেকে। শহরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা হাতে বেরিয়ে পড়েছেন লাখো লাখো মানুষ। ত্রিধারা সম্মিলনী থেকে নলিন সরকার স্ট্রিট ভিড় মেলাল কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণকে। নবমীতে প্রচুর দর্শক টেনেছে কয়েকটি প্যান্ডেল। সেই তালিকায় রয়েছে মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। আছে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পুজো বলে পরিচিত চেতলা অগ্রণীও।
নবমীতে যে পুজোগুলি সব চেয়ে বেশি লোক টেনেছে, তার মধ্যে রয়েছে সুরুচি সংঘ, ত্রিধারা সম্মিলনী, একডালিয়া এভারগ্রিন, কলেজ স্কোয়্যার, টালা পার্ক প্রত্যয়, সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার।
পুজোর বাকি দিনগুলির মতো নবমীতেও প্রচুর ভিড় টেনেছে শ্রীভূমির পুজো। গত বছরের মতো এই পুজোর কারণে সাধারণ মানুষকে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সে ব্যাপারে আগেই সুজিতকে ‘সতর্ক’ করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কারণে শুরু থেকেই শ্রীভূমির ‘ভ্যাটিকান সিটি’র উপর অনেকেরই নজর ছিল। অন্য বছরের মতো এ বারও সেখানে জনজোয়ার দেখা গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ভিআইপি রোডে প্রবল যানজটের খবর সেই ভাবে মেলেনি।
কম যায়নি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সঙ্ঘের পুজোও। নবমীর রাতেও জমকালো ভিড় দেখা গিয়েছে ওই পুজোয়। সুরুচি সঙ্ঘের উদ্বোধনে এসে ঢাক কাঁধে চমকে দিয়েছিলেন মমতা। অরূপদের এ বারের পুজোর থিম ‘পৃথিবী আবার শান্ত হবে’। প্রচুর ভিড় টেনেছে ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজোও। অনীক ধরের ‘থিম সং’-এ ফুটে উঠেছে ত্রিধারার পুজোর এ বারের থিম ‘দৌড়’। ভিড় হয়েছে উত্তর কলকাতার নলিন সরকার স্ট্রিটেও।
বনেদিয়ানার সঙ্গে সৃজনশীলতার যুগলবন্দি এখানে। নলিন সরকার স্ট্রিটের পুজোর থিম ‘গর্ভধারিণী’। শিল্পী সুব্রত মৃধার প্রতিমায় এবং দীপময় দাসের আবহ সঙ্গীতে জমজমাট এই পুজো। প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে থাকা একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোতেও ভালই ভিড় হয়েছে। একডালিয়া ৮০তম বর্ষে গুজরাতের সরস্বতী মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে। পুজো কমিটির সদস্যেরা জানাচ্ছেন, এ বারের পুজো তাঁরা সুব্রতকে উৎসর্গ করছেন।
স্বাধীনতার ৭৫ বছরের পূর্তি উপলক্ষে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এ বার মণ্ডপ করেছে লালকেল্লার আদলে। নবমীর রাতেও ওই পুজো দেখতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। অন্য বারের মতো এ বারও চমক দিয়েছে উত্তর কলকাতার টালা প্রত্যয়। তাদের ‘ঋতি: দ্য মোশন’ থিম দেখতে নবমীতেও জব্বর ভিড়।
নবমীতে দক্ষিণ কলকাতা নাকতলার ‘মোটা কাপড়’ থিম দেখতে সন্ধ্যা থেকেই ভিড় বেড়েছে। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম পুজো বড়িশা ক্লাবের থিম ‘সাঁঝবাতি’। ওই মণ্ডপেও ভাল ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে। প্রতি বছরের মতো যোধপুর পার্ক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনে এ বারেও সাবেকি আদলে পুজো হচ্ছে। ভিড় টানল তারাও।
মহালয়ার সন্ধ্যায় এই পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে আরও যে পুজোগুলিতে ভাল জনাসমাগম দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ২৫ পল্লি, মুদিয়ালি, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, দেশপ্রিয় পার্ক, সল্টলেক এফডি ব্লক, গড়িয়াহাট হিন্দুস্থান ক্লাব।