দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ সল্টলেকের মাড়োয়ারি সমাজের দোল উৎসবে যোগ দিয়ে মেয়র তথা রাজার হাটের বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের গলায় শোনা গেল, “জয় ভারত। ভারত মাতা কী জয়!” রঙের উৎসবে ফের গেরুয়া জল্পনা উস্কে দিয়ে সব্যাসাচী, এ দিন বলেন, “মেয়র থাকলাম কি থাকলাম না, বিধায়ক থাকলাম কি থাকলাম না বড় কথা নয়। আমি মানুষের মধ্যে থাকতে চাই।”
মাথায় গোলাপি পাগরি বেঁধে, গালে আবির মেখে সব্যসাচী এ দিন বলেন, “পুলওয়ামায় অনেক জওয়ান মারা গিয়েছেন। তাঁদের বাড়িতে আজ শুধুই চোখের জল। ওঁদের জন্যই আজ আমাদের সোচ্চারে বলতে হবে, যদি ভারত না বাঁচে, তাহলে আমরা কেউ বাঁচব না।”
এইতো মাত্র কয়েক দিন আগের কথা,বড় মা বীণাপাণিদেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে সব্যাসাচী তখন ঠাকুরনগর থেকে বিধাননগরের তাঁর বাড়ির পথে। হঠাৎ মুকুল রায়ের ফোন এলো তাঁর ফোনে, ‘আমি দাদা বলছি। কোথায় তুই! আমি সল্টলেক এসেছি। তোর বাড়িতে যাচ্ছি।” তারপর লুচি, আলুর দমের গল্প টা এখনও প্রায় সকলেরই মুখে মুখে ঘুরছে।
সেই ঘটনার এক দিন পরেই বিধাননগরের কাউন্সিলরদের নিয়ে সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে বৈঠক ডাকেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী । সব্যসাচী গিয়ে সেই বৈঠকে ক্ষমা চেয়ে নেন। বৈঠকের পরেই সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ববি হাকিমদের পাশে দাঁড়িয়ে সব্যসাচী বলেন, “কেউ যদি বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে বলেন, ইন্দ্রানী লুচি আলুরদম বানাও। তাহলে তো আমি ভদ্রতার খাতিরে না করতে পারি না।”
ববি হাকিম সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বিনা নেমন্তন্নে সব্যসাচীর বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন মুকুল রায়।” প্রাথমিক ভাবে দিদিও চটেছিলেন সব্যসাচীর উপর। কিন্তু শেষপর্ন্ত তাঁকেই মেয়রের পদে বহাল রাখা হয় । এখন প্রশ্ন উঠেছে , রঙের উৎসবে রঙ বদলের সুর শোনার পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাঁর গেরুয়া শিবিরে যাওয়াটা এখন শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। ছবি~ সংগৃহীত৷