পিয়ালী মুখার্জি,কলকাতা: নন্দ উৎসবের সকালে কলকাতার বেহালা পঞ্চাননতলা দুর্গোৎসব কমিটির ২০২২ খুঁটি পুজো হয়ে গেল। তার সাথেই সূচনার সুর বাধা হয়ে গেল বাঙালির সব থেকে বড় পুজো আসন্ন দুর্গোৎসবের।
এবার ৭৮ বছরে পদার্পন করলো তাঁদের পুজো।
বিশেষ চমক হলো এবারেও মায়ের আবাহন সম্পূর্ণ রূপে মহিলা পরিচালিত।
আজ নন্দোৎসবের পুণ্য লগ্নে হয়ে গেল সেই পুজোর শুভ সূচনা। পাড়ার মহিলাদের আয়োজনে হলো খুঁটি পুজো। তাঁদের নৈপুণ্যে সাজানো হয়েছিল খুঁটি। সমস্ত আয়োজন করা হয়েছিলো কোভিড বিধি মেনেই।
পুজোর নৈবিদ্যে ছিলো ফল মিষ্টি সহ নিপুণ আয়োজন। পল্লীবাসী বৃন্দের কোলাহলে পুজো মন্ডপ ছিল পরিপূর্ণ। শুক্রবার থেকে আবহাওয়া বাঁধসাধলেও খুঁটি পুজোর সময় প্রাকৃতিক ভাবে কোনো বিঘ্ন না ঘটায় সুসম্পন্ন হলো পুজো।
গত দু বছরের মহামারীর ভয় ভুলে পাড়ার সকলে সামিল হয়েছিলেন এই আনন্দযজ্ঞে। সম্পূর্ণ নিষ্ঠা ভরে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণে সঙ্গে শঙ্খ ও ঘন্টার ধ্বনি তে মুখরিত হলো বেহালা পঞ্চাননতলা এলাকা। সকলের মনে বাজলো সেই আনন্দের সুর। মানুষের মুখে ফুটলো হাসি।
পুজো কমিটির বিশিষ্ঠ সভাপতি বিধায়ক রত্না চ্যাটার্জি উপস্থিত ছিলেন বেহালা পঞ্চান্নতলা দুর্গোৎসব কমিটির এই খুঁটি পুজোয়। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি ভীষণ খুশি পুজোর আয়োজনে ও পাড়ার মহিলাদের আন্তরিকতায়। জানালেন মহিলাদের দ্বিতীয় বারের এই দায়িত্ব তারা যেমন সানন্দে গ্রহণ করেছেন তেমনই মায়ের আবাহন কোনো ত্রুটি না থাকে।
তিনি সর্বত ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বিশিষ্ট আইনজীবী গোপাল চন্দ্র হালদার আছেন এই পঞ্চান্নতলা দুর্গোৎসব কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে। এলাকার মহিলারা জানান তারা মিলিত ভাবে চেষ্টা করবেন এই পুজো সর্বত ভাবে সাফল্য মণ্ডিত করার।
সম্পাদিকা রুমিতা ভৌমিক বললেন তারা এই চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্বে খুব খুশি। এখন তাঁদের সকলের গুরু দায়িত্ব মায়ের আবাহন। ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে তাঁরা এগিয়ে যেতে চান, মা তাঁদের সঙ্গে আছেন এটাই তাঁদের বিশ্বাস।